শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ব্রীজ ভেঙ্গে চার বছর ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, জনদুর্ভোগ চরমে

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৬
  • ৩০০ বার পড়া হয়েছে

 
ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ-ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার চেচঁরীরামপুর ইউনিয়নের বানাই মহিষকান্দি বাকের খালের ওপর লোহার ব্রীজটি ভেঙ্গে চার বছর ধরে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে । ২০১২ সনের ৭ সেপ্টেম্বর সকাল বেলা হঠাৎ করেই ব্রীজটি নদীতে ভেঙ্গে পড়ে তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া বানাই -পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া-মঠবাড়ীয়ার সাথে সড়ক পথের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে কাঠালিয়া তফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া) ডিগ্রি কলেজ, বানাই স্কুল এন্ড কলেজ, বানাই বালিকা বিদ্যালয়সহ ১০-১২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২ লক্ষ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলার বানাই গ্রামের মহারাজ তালুকদার জানান, সেতুটি ভেঙ্গে পড়ায় উপজেলা সদরের সাথে বানাইসহ এ এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। স্কুল শিক্ষক বজলুর রশীদ খান খোকন বলেন ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে ভান্ডারিয়া হয়ে কাঠালিয়ায় শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। এতে সময় অর্থ দুটিই অপচয় হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্রীজটি ভেঙ্গে সম্পুর্ন পানিতে ডুবে না যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগের সঙ্গে নৌ যোগাযোগও অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে। নদী সরু হয়ে নৌকা, ট্রলার ও লঞ্চ চলাচলেও বিঘœ ঘটছে। চেঁচরীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজী জানান, বিগত ৫-৬ বছর পূর্বে একটি কাঠ বোঝাই ট্রলারের থাক্কায় ব্রীজের তিনটি খুটি ভেঙ্গে যায়। তখন থেকে ঝুকিপূর্ন ব্রীজটিতে হালকা যানবাহন চলাচল করলেও ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ২০১২ সনের ফেব্রুয়ারী মাসে কাঠ বোজাই একটি ট্রলারের ধাক্কায় ব্রীজটি বিধ্বস্ত হলে বা্েঁশর খুটি দিয়ে কোন রকম লোকজন যাতায়াত করত। বিষয়টি এলজিইডি ও সড়ক জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীদের সাথে বহুবার যোগাযোগ করা হলেও কোন কাজ হয়নি। কাঁঠালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.জাহিদ হোসেন জানান, সেতুটি বিধ্বস্ত হওয়ায় পুলিশের টহল গাড়ি নিয়ে বানাই পশ্চিম চেঁচরী, ভায়েলাবুনিয়া কালিশংকর এলাকায় যেতে না পারায় আইন শৃংখলা রক্ষা কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কাঁঠালিয়া এলজিইডির প্রকৌশলী অমল চন্দ্র রায় জানান, ১৯৯২ সালে এলজিইডি এ সেতুটি নির্মান করে ১৯৯৮ সালে এ রাস্তাটি সওজের আওতায় চলে যাওয়ায় এ ব্রীজের দেখভাল করার দায়িত্ব এখন তাদের। ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম হামিদুর রহমান বলেন, ব্রীজটি নির্মাণের প্রাক্কলন এবং ডিজাইন  চুরান্ত করে গত অর্থ বছরে মন্ত্রাণলয়ে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণের জন্য সাংসদ বজলুল হক হারুন মহোদয় ডিও লেটার দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই টেন্ডার আহবান করে দ্রুত ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451