সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদ-হৃদয়ের ব্যাটে চড়ে সহজ জয় টাইগারদের প্রবাস ফেরত স্ত্রীকে হত্যার পর রক্তাক্ত দা নিয়ে থানায় স্বামী পুড়ছে সুন্দরবন : সর্বশেষ যা জানাল ফায়ার সার্ভিস কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের মনোনয়ন বাতিল আল জাজিরার ব্যুরো অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান ১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, ১০ জেলায় সতর্কতা জারি গুগলকে তিন হাজার কনটেন্ট সরাতে অনুরোধ বাংলাদেশের মুফতি মাহাদী হাসান সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিরব ভোট বিপ্লবে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদী রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুল হাসান মাসুদ

দীর্ঘ চার বছরেও গড়ে উঠেনি বশেমুরবিপ্রবির কোন ছাত্র-ছাত্রী হল ও নতুন ভবন

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ২১ মে, ২০১৮
  • ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : ২০১১ সালে মাত্র ৫টি বিভাগ নিয়ে বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ড.
খাইরুল আলম (প্রাক্তন ভিসি) কে নিয়ে যাত্রা শুরু করা হয়। প্রাক্তন ভিসির
অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মাত্র দুই বছরে দুইটি ছাত্র হল ও একটি ছাত্রী হল
গড়ে উঠে। কিন্তু খাইরুল আলম চলে গেলে দীর্ঘ চার বছরেও গড়ে উঠেনি
একটিও ছাত্র হল বা ছাত্রী হল।
বর্তমান ভিসি কেন্দ্রীয় ক্যাফেটিরিয়া ও গাড়ী রাখার গ্যারেজকে ছাত্রী
হল বানিয়েছেন। গ্যারেজের অর্ধেকাংশ টীন দিয়ে বেড়া দিয়ে ছাত্রী
উঠানো হয়েছে যা একেবারেই অমানবিক। গাড়ীর শব্দে ছাত্রীরা পড়াশুনা
করতে পারছে না। কী ভাবে তাদের মেধার বিকাশ ঘটবে শিক্ষকরাই ভালো
জানেন। টিনের ছাউনির নীচে প্রায়ই ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই
সাথে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, ভিসি স্যার আমাদের মানুষ মনে
করেন না ছাগল মনে করেন উপর ওয়ালা ভালো জানেন। সে আরো বলে, ভিসি
স্যারের নিজের মেয়ে হলে কী পারতেন তাকে উত্তপ্ত রৌদ্রে টীনের
ছাউনিতে রাখতে ? পারতেন না। আজ আমরা অনেক দূর থেকে পড়তে
এসেছি দেখে আজ আমরা অনেক অসহায়। বর্তমান ভিসি নাসির
উদ্দিনের আমলে গুটিকতেক টিনশেড ব্যতীত বশেমুরবিপ্রবিতে গড়ে
উঠেনি একটি ভবনও।
২০১১ সালে প্রফেসর ড. খাইরুল আলমকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতি বশেমুরবিপ্রবিতে ভিসি হিসেবে নিয়োগ
করেন। তৎকালীন ভিসি খাইরুল আলমের একান্ত নিরলস পরিশ্রমের ফলে
একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, দুইটি ছাত্র হল, একটি ছাত্রী হল,
লাইব্রেরী, ক্যাফেটেরিয়া, কেন্দ্রীয় মসজিদ ও একাধিক ডরমিটরিসহ
বিভিন্ন ভবন গড়ে উঠে মাত্র তিন বছরে। খাইরুল আলম চলে গেলে যাওয়ার
পর বশেমুরবিপ্রবির ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান গোপালগঞ্জের ছেলে
প্রফেসর ড. খন্দকার নাসির উদ্দিন।
বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. নাসির উদ্দিনের আমলের প্রায় চারটি বছর
কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত গড়ে উঠেনি কোন ছাত্র বা ছাত্রী হল। ১৪টি

বিভাগ থেকে ৩১টি বিভাগে উন্নীত হলেও এই চার বছরে গড়ে উঠেনি
একটি প্রশাসনিক ভবনও। গুটি কতেক টিনশেডেই চালানো হচ্ছে শত শত
শিক্ষার্থীর পড়াশুনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র জানান, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি নাহ
কিন্ডার গার্ডেনে পড়ি সেটাই বুঝতেছি না। আমি আমার কিন্ডার
গার্ডেন লাইফ ফিরে পেয়েছি বশেমুরবিপ্রবিতে ভর্তি হয়ে।
অব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়েই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। দেখার যেন কেই নেই, এ
ভাবেই চলছে গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়টি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451