গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.
সাবেক প্রতিমন্ত্রী, গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম আসনের সাংসদ ও নাটোর জেলা আ’লীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস চিকিৎসার কারণে বিদেশ থাকার সুযোগে ৬ জুলাই তাঁর বাসভবনে হামলা করার সাজানো নাটকের গোমড় ফাঁস হয়ে গেছে।
পুলিশ ও স্থানিয় সুত্র জানায়, স্থানিয়
সাংসদ আব্দুল কুদ্দুসের বাসার কেয়ারটেকার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে মিলন (৩০) ও বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে রবিউল (২০) প্রায় দেড়মাস যাবৎ বাসার কেয়ারটেকার ও সিকিউরিটি গার্ডের দায়িত্ব পালন করে আসছিল। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী কেয়ারটেকার মিলন ওই বাসভবনে অবস্থান করে সাংসদের অনুউপস্থিতি তিতে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ৬ জুলাই শনিবার গভীর রাতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ওই বাসার ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে উভয়ে যোগসাজস করে চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে না পেয়ে সিকিউরিটি গার্ড রবিউলকে অসুস্ত ভেবে ওই রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন সে সাংবাদিকদের জানায় তিনজন দূর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়। কিন্তু ওই বাসার কেয়ারটেকার মিলনকে পুলিশি হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হামলা ঘটনার সমস্ত অভ্যন্তরীন গোমড় ফাঁস হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে গুরুদাসপুর থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, সাংসদের বাসার কেয়ারটেকার গ্রেফতারকৃত মিলন ওই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং সিকিউরিটি গার্ড রবিউলের দেয়া বর্ণনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। হামলার ঘটনা সত্য না।
এদিকে গুরুদাসপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী বলেন, আমরা শুনেছি ইতিপূর্বেও এমপি সাহেবের বাসা থেকে ৫৫ লাখ টাকা হারিয়ে গেছে এবং পরপর এ ধরণের অনেক ঘটনাই ঘটেছে তাঁর বাসায়। আমি মনে করি সেদিনের হামলা নাটকের মধ্যদিয়ে প্রতপক্ষ হিসেবে এমপি সাহেবের লোকজন আমাদেরকে ফাঁসানো জন্য বারবার এধরণের ঘটনা ঘটা”েছ।
এ ব্যাপারে ¯’ানীয় সাংসদ কুদ্দুস দেশের বাইরে থাকার কারণে তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।