রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

নানা সংকটে বুকছে তালতলী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১৮
  • ৩২৫ বার পড়া হয়েছে

  নাজমুল হোসেন বিজয়, বরগুনা সংবাদ দাতাঃ
নানা সংকটে ভুগছে তালতলী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষক সংকট, শিক্ষকদের দায়িত্ব অবহেলা, শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়মিত স্কুল পরিদর্শন না করাসহ নানাবিধি সমস্যায় জর্জরিত তালতলীর প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত সমাবেশ, জাতীয় সংগীত গাওয়া, শিক্ষার্থীদের শপথ পাঠ করানো, জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শনে উদ্বুদ্ধ করা, নির্ধারিত পাঠের বাইরে ক্রীড়া ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, জাতীয় দিবস উদযাপন, বইপড়া প্রতিযোগিতা, মা দিবস আয়োজনসহ নানা কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও তা মানছে না তালতলীর বেশিরভাগ বিদ্যালয়।
উপজেলায় মোট ৭৭টি স্কুলে ৩৬৭ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও আছে ২৫৫ জন, এর মধ্য থেকে ২১ জন শিক্ষক আছে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য পিটিআই ট্রেনিংয়ে। শূন্য পদ আছে ১১২টি।
তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের মৌরভী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি শিক্ষক শূন্য থাকায় মোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা জালাল আহম্মেদকে ডেপুটেশনে বদলি করা হয়। তার ডেপুটেশন থাকা অবস্থায় জানুয়ারি মাসে তিনি পিটিআইতে প্রশিক্ষণে যান। এরপরই বিদ্যালয়টি আবারো শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে পার্শ্ববর্তী তাঁতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শাহআলমকে দিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করা হয়। অথচ ওই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭১ জন।
কলারং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক রয়েছে দুইজন, তার মধ্যে একজন রয়েছে পিটিআইতে ট্রেনিংয়ে। বাদুরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছে একজন, শিক্ষার্থী সংখ্যা ১২৬ জন। হুলাটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক একজন। উত্তর গাব্বাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক দুইজন। নলবুনিয়া আগাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক মোট দুইজন, একজন আছে পিটিআইতে ট্রেনিংয়ে। উত্তর কড়াইবারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছে দুইজন। শারিকখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক দুইজন।
নলবুনিয়া আগাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমার স্কুলে দুইজন শিক্ষক। একজন আছে পিটিআইতে তাই আমার একার পক্ষে ১৫৯ জন শিক্ষার্থীকে মানসম্পন্ন শিক্ষা দেয়া সম্ভব না’।
তালতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, এ সকল সমস্যার মূল কারণ হচ্ছে শিক্ষক সংকট। আর এ সমস্যা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে তালতলীর জন্য বিশেষভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451