মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

ভালুকায় আমের হলদে মুকুলের সাজে ও গন্ধে মুখরিত চারদিকের প্রকৃতি

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১৮
  • ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে

আরিফুল ইসলাম(আরিফ),ময়মনসিংহ ভালুকা,:  প্রতিনিধি,ভালুকায় আমের হলদে মুকুলের সাজে ও গন্ধে মুখরিত চারদিকের প্রকৃতি। ভালুকা উপজেলায় সর্বত্রই পরিচিত ফল আমগাছ, আমের বাগান দেখা য়ায়। আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে  অানন্দে মৌমাছির এলোমেলো ওড়াওড়িতে মুগ্ধতায় প্রকৃতি। মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাস ও সৌন্দর্যময় চারদিকের বাতাস মিষ্টি করে তুলছে মানুষের মন। ছয় ঋতুর এই বাংলাদেশে পাতাঝড়া ষড়ঋতু রাজা বসন্ত। আবহমান বাংলার সৌন্দযের্র রাজা বলে পরিচিত গ্রীষ্মকাল। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে এলো বাংলার বুক মাতাল করতে ঋতুরাজ বসন্ত। উপজেলার প্রতিটি এলাকা জুড়ে এখন সর্বত্র গাছে গাছে শুধু আমের হলদে মুকুল আর মুকুল। মুকুলের সাঁজে ও ভারে নুয়ে পড়ার উপক্রম যেন প্রতিটি আমগাছ। সেই সুবাদে মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে। সবুজ রঙিন-বন যেন হলদে ফুলের সমারোহে প্রকৃতি যেমন সেজেছে বর্ণিল রুপালী সাজে, তেমনি নতুন সাজে যেন সেজেছে ভালুকা উপজেলার আম বাগানগুলো। আমের মুকুলে ভরপুর আর ঘ্রাণে ভালুকা উপজেলার সর্বত্র জানান দিচ্ছে বসন্তের বার্তা। শোভা ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে বাগানগুলোতে, প্রায় ৯০ শতাংশ গাছেই এসেছে মুকুল। বাগান মালিক,আমচাষিরা আশা করছেন বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ উপজেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে। দেখা গেছে আমচাষি ও বাগান মালিকরা বাগানে পরিচর্চা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। অবশ্য গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই গাছের পরিচর্চা করে আসছেন তারা। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময় কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়। সারিবদ্ধ গাছে ভরপুর আমের মুকুল যেন শোভা ছড়াচ্ছে তার নিজস্ব মহিমায়। ভালুকা উপজেলায় সাধারণত কয়েকটি জাতের আম দেখা যায় তবে উন্নত জাতের আমের বাগান করতে দেখা যাচ্ছে এখন। এখানকার জমি আম চাষের জন্য ভাল, উন্নত জাতের আম চাষের উপযোক্ত হওয়ায় চারা সংগ্রহ করে আমের বাগান তৈরি করলেও বর্তমানে তারা নিজেরাই চারা উৎপাদন করে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সুফলও পেয়েছেন অনেকেই। আম চাষে সফল এক কৃষক জানান,পুরোপুরি ভাবে এখনো সব গাছে মুকুল আসছে এবার। আমি এ আম থেকে অনেক টাকা আয় করেছি। তারা জানান, ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাঙ্খিত ফলনের আশা করছেন আম চাষিরা। সুবিধাভোগীদের সুফল দেখে চাষিরা আম চাষে উৎসাহিত হয়ে নিজ নিজ উদ্যোগে নতুন নতুন বাগান তৈরি করছেন। ধীরে ধীরে এ উপজেলা জুড়ে সম্পসারিত হচ্ছে নতুন নতুন আমের বাগান। উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় চাহিদাও বাড়বে অনেক। উপজেলার বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে। আবহওয়া অনুকুলে থাকায় এবার গাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজনের কতটা প্রয়োজন হবে এখন বলতে পাড়ছেন না। তবে ছাত্রাক জনিত রোগেও আমের মুকুল-ফুলগুটি আক্রান্ত হতে পারে। সব মিলিয়ে তারা ভাল ফল পাবার আশায় যন্ত ও পরিচর্যায় ব্যস্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451