গাইবান্ধা থেকে শেখ হুমায়ুন হক্কানী ঃ বন্যা পরবর্তী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার
চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি নেমে
যাওয়ায় চরাঞ্চলের বানভাসি পরিবারগুলো আশ্রয় কেন্দ্র, বেড়িবাঁধ, শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান এমনকি স্বজনদের বাড়ি হতে নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে।
কিন্তু বন্যার স্রোতে রাস্তা-ঘাট ভেসে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা
বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার কারণে পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার
হচ্ছেন বানভাসিরা। পানি কমে যাওয়ায় কোথাও কোথাও নৌকা এবং কলার
গাছের ভেলা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। গৃহপালিত পশু-পাখি এবং গৃহস্থালী
মালামাল অতি কষ্টে বাড়ি নিতে হচ্ছে।
বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে ফিরে দেখা গেছে, ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা-ঘাট এবং
ব্রীজের কারণে এখনও অনেক এলাকার মানুষকে বাঁশের সাঁকো, কলার গাছের
ভেলা, ডিঙ্গি নৌকা ব্যবহার করে চলাচল করতে হচ্ছে। সুন্দরগঞ্জের তারাপুর চরে
বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই এলাকার বানভাসিরা নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো
দিয়ে কোন মতে চলাফেরা করছে। এছাড়া তালুক বেলকা গ্রামের সড়ক ভেঙ্গে
যাওয়ায় ওই এলাকার বানভাসিদের চলাচল মারাতœক ভাবে বিছিন্ন হয়ে
এদিকে ঘরে ফিরে আসা মানুষদের জন্য এই মহুর্তে কর্মসংস্থান, খাদ্য,
পানীয়জল, গবাদি পশুর খাবার, পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেটসহ ঔষধ পত্রাদি জরুরি
হয়ে পড়েছে। তাছাড়া যেসব গভীর, অগভীর নলকুপ পানিতে ডুবে গিয়েছিল
সেগুলো সংস্কার অত্যন্ত জরুরী। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে চর্মরোগ,
সর্দি কাশিসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বেলকা
ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৬টি ওয়ার্ডের সবগুলো সড়কেই বন্যার ¯্রােতে ধ্বসে
গেছে। যার কারণে এক চর হইতে অন্য চরে যাওয়া আসা বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার জানান, বিভিন্ন
চরাঞ্চলসহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা-ঘাট, কালভাট-সেতু চিহ্নিত করে
তালিকা জমা দেয়ার জন্য সংশিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণকে পরামর্শ প্রদান
করা হয়েছে।