রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

মানবতার কল্যাণে কাজ করতে ঐক্যবদ্ধহন “কবি, লেখক, সাংবাদিক ও নেতা”

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ৫২০ বার পড়া হয়েছে

হেলাল শেখ:-
দেশে ফেসবুক নেতা ও অভিনেতার অভাব নেই, তারা কত % মানুষ দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করছেন? দেশে কবি,
লেখক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেই বড় বড় কথা বলে থাকেন কিন্তু আমাদের পরিবার, সমাজ, দেশ ও
জাতির কল্যাণে কাজ করার দায়িত্ব আমাদেরই তাই নয় কি? আমাদের মধ্যে শিক্ষিত মানুষের অভাব নেই কিন্তু শিক্ষিত
বিবেকের খুবই অভাব তাই নয় কি? আমরা বাংলাদেশী কেন আমরা বাংলা বলতে চাই না ? আমার সোনার বাংলা আমি
তোমায় ভালোবাসি কথাগুলোর মধ্যে ভালোবাসার গন্ধ পাওয়া যায়। ২১ শে ফেব্রæয়ারি আসলেই ভাষা নিয়ে কত
মাতামাতি হয়, ইংরাজী ভাষায় কথা না বলতে পেরে অনেকেই মনে কষ্ট পায়! বাংলাদেশে জন্মেছি কিন্তু বাংলা ভাষায়
কথা কেন বলি না? ফেসবুক ব্যবহার করে মহামানব বনে যাই অনেকেই আমরা, কিন্তু দেশ ও জাতির কল্যাণে কি লেখা
প্রকাশ করি বলুনতো?
বিশেষ করে ভালোবাসা কোন ভাষা থেকে আসছে ? আমাদের অনেকেরই পরিস্কার ভাবে জানিনা যে ভাষার জন্য লাখ লাখ
মানুষের জীবন দিয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জাতিকে জানতে ও বুঝতে হবে।
তিনি আসলে কে ? প্রিয় পাঠকগণ আপনারা জানেন কি ? যে, ১৯৪৭ সালে পাকিস্থান স্বাধীন হওয়ার পর পরবর্তী
দশকে কোন শাসন চালু ছিলো? একটু নিচে ও ভিতরে কিছু তথ্য দেয়া আছে। উল্লেখ্য ৬ দফার অনানুষ্ঠানিক
ঘোষণা কে-কবে এবং কোথায় দেয়া হয়? সুত্রমতে, শেখ মুজিব, ৫ ফেব্রæয়ারি ১৯৬৬ এবং লাহোরে। প্রিয়
পাঠকগণ জানেন কি? শেখ মুজিব কবে কোথায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফার ঘোষণা দেন? ২৩ মার্চ, ১৯৬৬।
লাহোরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে। রাজনীতি করলে মারামারি করতে হয়, হামলা, মামলার শিকার হতে হয় তা চিরসত্য।
এর জন্য শেখ মুজিবকে প্রধান আসামী করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করার পর তা আবার প্রত্যাহার করা হয়
জানুয়ারি, ১৯৬৯-২২ ফেব্রƒয়ারি ১৯৬৯। পাকিস্থানের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৭ ডিসেম্বর ১৯৭০
সালে, ওই নির্বাচনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় পরিষদের ১৬৭টি এবং পাকিস্থান পিপলস্ধসঢ়; পার্টি ৮৮টি
আসন লাভ করেন। বিশেষ করে, পূর্ব-পাকিস্থান প্রাদেশিক আইন পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ
২৮৮টি আসন লাভ করে এবং অবশিষ্ট ১২টি আসন অন্যান্য দল। ৬ মার্চ ১৯৭১ সালে প্রেসিডেন্ট জাতীয় পরিষদের
অধিবেশনের নতুন ঘোষণা দেয়া হয়।
তথ্য সুত্রে-সারাবিশ্ব ৭ই মার্চ ভাষণকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছেন। প্রিয় পাঠকগণ জানেন কি, ৭ই মার্চ
১৯৭১, শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ভাষণের বৈশিষ্ট্য কি? অহিংস ও অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি প্রদান,
স্বাধীনতার পরোক্ষ ঘোষণা, পর্ব পাকিস্থানে আওযামী লীগের অসামরিক প্রশাসন চালু করা। বিশেষ করে, ঢাকায়
মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক শুরু হয় ১৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত, ১০দিন চলে আলোচনা। তখন আলোচনার
বৈঠক ভেঙ্গে দিয়ে ইয়াহিয়া খান ঢাকা ত্যাগ করে ২৫ মার্চ রাতে। এরপর পাকিস্থান সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু
করে। ২৫ মার্চ রাতেই শেখ মুজিবকে ধানমন্ডির ৩২ নং বাসা থেকে বন্দী করা হয়। এই ৯ মাসের যুদ্ধে ঘটে যায়
অনেক ঘটনা, এরপর দেশ স্বাধীন হয়, নাম লেখা হয় লাল সবুজ এর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। লাখ লাখ মানুষের তাজা রক্তের
বিনিময়ে এই স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা। বাংলা ভাষায় কথা বলছি, এটা আমাদের অহংকার। আওয়ামী লীগ আগেও
ছিলো, এখনও আছে, আগামীতেও থাকবে। আল্লাহু সৃষ্টি করেছেন মানুষকে মানবতার কল্যাণে কাজ করার জন্য।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহপরিবারের রক্ত দিয়ে প্রমান করে গেছেন, শেখ পরিবার দেশের
মানুষকে ভালোবেসেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে সবকিছু করতে পারেন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। প্রিয় পাঠকগণ
শেখ মুজিব সম্পর্কে জানার শেষ নেই। তবুও যতোটুকুও জানার দরকার জানুন এবং দেশ ও জাতিকে মুজিব
সম্পর্কে জানার জন্য সবাইকে সচেতনমূলক প্রচার করবেন বলে এই প্রতিবেদক সাইফুল ইসলাম হেলাল শেখ সবার
তরে অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য ১৯৩৫ সালে ভারত শাসন আইন দ্বারা পাকিস্থান সৃষ্টির পরবর্তী দশক শাসিত হয়। এই শাসন ব্যবস্থাকে ভাইস
রিগ্রাল ব্যবস্থা বলা হত। বিশেষ করে পাকিস্থানের দুই অঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য ও বিভেদের কারণ কি? তা হলো পাকিস্থানি
শাসন নীতিহীনতা, অদূরদর্শিতা ও স্বার্থপরতা। পাকিস্থানের প্রথম গভর্নর ছিলেন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তখন
পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিয়াকত আলী খান। লিয়াকত আলী খানের মৃত্যুর পর, খাজা নাজিম উদ্দিন
প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর ১৯৫৩ সালে গোলাম মুহম্মদ গভর্নর জেনারেল হন। খাজা নাজিমউদ্দিনের পর পাকিস্থানের
প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন বগুড়ার মুহম্মদ আলী। উক্ত নিউজ তথ্য সুত্র কমপিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইড।
আমাদের দেশের ৬৪ জেলা ও ৮টি বিভাগে প্রায় ১৮ কোটি জনগণের নেতা- বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী
শেখ হাসিনা। বর্তমান সরকার প্রধান, শেখ মুজিবকন্যা কে সফল রাজনীতিবীদ হিসেবে তাহাকে আমি ধন্যবাদ
জানাই। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১ শে ফেব্রæয়ারি আমি কি তা ভুলতে পারি? আমরা কি সেই নেতাকে ভুলতে
পারি, যিনি তাহার সহপরিবারে হত্যার শিকার হয়েছেন এই বাংলাদেশ স্বাধীনের পর। আসলে কি আমরা প্রকৃত
স্বাধীনতা পেয়েছি এই বাংলায়? এখনও পথে ঘাটে, হাট-বাজারে অনেক রক্ত ঝড়ছে, অনেক মা বোনের ইজ্জতেহানি

হচ্ছে, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজি, জমি দখল করছে প্রভাবশালী মহল সন্ত্রাসীরা। এ
যেন দেখার কেউ নেই। প্রিয় পাঠকগণ এ বিষয়ে আপনাদের মতামত কি?

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451