শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সৌরভের অর্থের অভাবের চিকিৎসা হচ্ছে না। আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি’র সভাপতি হেলাল শেখকে প্রাণঢালা অভিনন্দন

ঝালকাঠিতে আমাবশ্যার জোয়ারের পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০১৬
  • ২৯১ বার পড়া হয়েছে

ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ-ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে আমাবশ্যার জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে ৭/৮ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরের কলাবাগান ও পূর্ব চাঁদকাঠি জেলে পাড়া এলাকাসহ জেলার ৪ উপজেলার নদী তীরবর্তি বিস্তীর্ণ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে নদী তীরবর্তি চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর পানি বৃদ্ধিতে আবাসিক এলাকায় হাটু সমান পানি হয়েছে। তলিয়ে গেছে বাসার ফ্লোর, রান্না ঘর, পায়খানা। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। সাপ আতঙ্কে রাত যাপন করতে হচ্ছে খাটের উপরে বসে। কলাবাগান এলাকার মরিয়ম বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাবশ্যা অথবা পূর্ণিমা হলেই প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে পানি বাড়তে থাকে। মানের (মানুষের) বাসায় কাজ করি। পানি বেড়ে যাওয়ায় কাজেও যেতে পারছি না। রান্নাঘর তলিয়ে গেছে। রাত হলে সাপের ভয়ে বসে থাকি। শুকনা মরিচ পুড়ে ঘরের চারপাশে দিয়ে খাটের উপর বসে রাত কাটাই। প্রতিবছরই এরকম দুর্ভোগে পড়তে হয়। আমাগো বিপদ দেখাইয়া বড় মেয়ারা (জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা) সাহায্য এনে নিজেরাই নেয়। আমাগো কিছু দেয় না। আকলিমা মোয়াজ্জেম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিলীমা আক্তার ও শেখ অপু জানায়, পানি বাড়লে কোনটা রাস্তা আর কোনটা খাল আমরা বুঝি না। স্কুলে যাবার সময় গড়তে পড়ে গিয়ে (হোঁচট খেয়ে) বই-খাতা ও স্কুল ড্রেস ভিজে যায়। ক্লাস করতে পারি না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা আক্তার বলেন, প্রতিবছরই এ মৌসূমে পানি ওঠে স্কুলে যাতায়াতের রাস্তা ও খেলার মাঠ তলিয়ে যায়। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয়। ব্যাহত হয় পাঠদান কার্যক্রমও।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451