সুদাম চন্দ্র, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলার একটি
ঐতিহাসিক নিদর্শন পতœীতলা থানার দিবর দীঘির মাঝখানে
অবস্থিত দিব্যক জয়স্তম্ভ। এ দীঘি স্থানীয় জনগণের কাছে
কর্মকারের জলাশয় নামে পরিচিত। দীঘিটি ৪০/৫০ বিঘা বা অর্ধ
বর্গমাইল জমির উপর অবস্থিত এবং গোলাকার। দিবর দীঘির মধ্যখানে
অবস্থিত আটকোণ বিশিষ্ট গ্ধসঢ়;্রানাইট পাথরের এত বড় স্তম্ভ
বাংলাদেশে বিরল। এ স্তম্ভের মোট উচ্চতা ৩১ ফুট ৮ ইঞ্চি। পানির
নিচের অংশ ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং পানির উপরের অংশ ২৫ ফুট % ইঞ্চি।
এর ব্যাস ১০ ফুট ৪ ইঞ্চি; প্রতিটি কোণের পরিধি ১ ফুট সাড়ে ৩
ইঞ্চি। এর স্তম্ভের কোন লিপি নে। স্তম্ভেও উপরিভাগ খাঁজ কাটা
অলঙ্করণ দ্বারা সুশোভিত। দীনেশ চন্দ্র সেন ‘বৃহৎ বঙ্গে’ উল্লেখ
করেছেন ‘কৈবর্ত রাজ ভীমের খুল্ল পিতামহ দিবেবাক দ্বিতীয়
মহীপালকে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করিয়া বিজয়োলাসে যে স্তম্ভ
উত্থাপিত করিয়াছিলেন তাহা এখনও রাজশাহী জেলার এক দীঘির উপরে
মস্তক উত্তোলন করিয়া বিদ্যমান।’ অন্যমতে, দিব্যকের রাজত্বকালে পাল
যুবরাজ রামপাল বরেন্দ্র বরেন্দ্র উদ্ধারের চেষ্টা করে দিব্যকের নিকট
পরাজিত হন। দিব্যক এই সাফল্যের স্মৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে দীঘি
মধ্যস্থিত এ স্তম্ভটি নির্মাণ করেন। আরো মত আছে যে ভীম এ
স্তম্ভটি নির্মাণ করেন এবং পিতৃব্য দিব্যকের স্মৃতি রক্ষার্থে
স্তম্ভটি তার নামে উৎসর্গ করেন। দিবরদীঘি যাওয়ার ব্যবস্থা নওগাঁ
বালুডাংগা বাস টার্মিনাল হতে সরাসরি বাসযোগে
ঐতিহাসিক দিবরদীঘি যাওয়া যায়। আনুমানিক দূরত্ব ৫০ কিঃমিঃ
বাসভাড়া- ৫০- ৬০/-টাকা । তবে জনসাধারণের জন্য দিবরদিঘি
থাকার কোন ব্যবস্থা নেই । দিনে যেয়ে দিনেই ফিরে আসতে হবে
অথবা উপজেলা সদর/জেলা সদরে থাকা যাবে; তবে ভি আই পি দের
থাকার জন্য সাধারণ একটি রেস্টহাউজ আছে । এখন প্রায়
প্রতিদিনিই এখানে অনেক পর্যটক বেড়াতে আসে।