রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:২৪ অপরাহ্ন

ফেসবুকে যেসব হয়রানি হয়

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭
  • ২৯০ বার পড়া হয়েছে

ফেসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। আর এই মাধ্যম দিয়ে মানুষ একে অপরের সঙ্গে যুক্ত তো হয়ই, নানা খবরাখবরও পায় এবং বিনোদনের উপাদানও পায়। তবে ফেসবুকিং করার সময় অনেকেই উটকো ঝামেলায় পড়েন। শিকার হন হয়রানির। সাইবার ক্রাইম বেড়ে যাওয়ায় সেটার প্রভাব এসে পড়ছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওপর। সবসময় এসব হয়রানি বা অপরাধ রোধ করা যায় না। তখন নিজেরই কিছু সচেতনতা অবলম্বন করতে হয়। সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্স অবলম্বনে এখানে ফেসবুকে হয়রানি বা সাইবার ক্রাইমের কিছু নমুনা নিচে দেওয়া হলো।

স্ক্যাম

অপরাধীরা অনেক বছর ধরেই ফেসবুকে স্ক্যাম পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছে। আর এর মাধ্যমেই দিন দিন প্রতারিত হচ্ছে মানুষ। স্ক্যাম দিয়ে প্রাথমিক ভাবে বিভিন্ন ধরনের বিনা মূল্যে পুরস্কার জেতার কথা বলা হয় এবং পুরস্কার সম্পর্কে তথ্য জানতে প্রবেশ করানো হয় তাদের দেওয়া লিঙ্কে। পরে সেখান থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর। আর এসব প্রতারণা থেকে রেহাই পেতে আমাদের সবাকে সতর্ক থাকতে হবে।

সাইবার বুলিং

সাইবার বুলিং এমন একটি সাইবার অপরাধ যার বেশির ভাগেরই শিকার তরুণ সমাজ। সাধারণত কিশোরীদের সাথে এই ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। এই সাইবার বুলিংয়ের কারণে অনেক সময় কিশোর কিশোরীরা আত্মহত্যা পর্যন্ত করে থাকে। সাইবার বুলিংয়ে নানা কায়দা করে গোপন তথ্য নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। এটি মূলত ফেসবুক ও ই-মেইল হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে। সাইবার বুলিংয়ের কারণে অনেক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছে। তাই বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। ফেসবুক ব্যবহারের সময় নিজের ব্যক্তিগত বিষয় যেন পাবলিক না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

স্টকিং

সাধারণত একজনের প্রোফাইলে গিয়ে ঘাটাঘাটি করাকে স্টকিং বলা হয়ে থাকে। কিন্তু সাইবার স্টকিং আসলে ভয়ংকর একটি ব্যাপার। ফেসবুক ব্যবহারকারীকে বার্তা বা মন্তব্য করে নানা ধরনের হুমকি বা ধমক দেওয়া, উত্ত্যক্ত করাকে সাইবার স্টকিং বলে। স্টকিংয়ের মাধ্যমে অনেক সময় কারো কারো জীবন সংকটে পড়ে যেতে পারে। তাই নিজে যেমন স্টকিং থেকে বিরত থাকতে হবে, তেমনি অন্যকেও সচেতন করতে হবে। আর কেউ স্টকিংয়ের শিকার হলে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

আইডেনটিটি থেফট

হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ইমেইল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য চুরি করে একজনের পরিচয় নিজের করে নেওয়াকে আইডেনটিটি থেফট বলে। এ ধরনের অপরাধের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তিকে সামাজিক বা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা যায়। সাধারণত সেলিব্রেটিরা এ ধরনের অপরাধের শিকার হন। আবার সাধারণ মানুষের ফেসবুক আইডিও হাতছাড়া হতে পারে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে। অতএব পাসওয়ার্ড পাল্টে অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে।

হ্যারেজমেন্ট

ফেসবুকের মাধ্যমে হয়রানির ব্যাপারটা নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন ধরনের  বিদ্বেষমূলক কথা, ছবি বিকৃতি, ভুয়া পেজ অথবা আইডি এবং আপত্তিকর ভিডিওর মাধ্যমে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। হয়রানি থেকে রেহাই দেওয়ার নাম করে অপরাধীরা ব্যবহারকারীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এসব কারণে ভেঙ্গে যাচ্ছে কারো সংসার অথবা সম্পর্ক। কেউ বা আবার বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যার পথ। কেবল প্রতিকার পাওয়ার উপায় না জানা থাকার কারণে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই ধরনের অপরাধ। এই ধরনের সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে দেরি না করে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451