ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় সদরের
উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ্#৩৯;ফুলবাড়ীয়া ডিসপেনসার্#ি৩৯; নামে পরিচিত। একজন
মেডিকেল অফিসার, একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার, একজন
ফার্মাসিস্ট কর্মরত রয়েছেন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল আড়াইটা পর্যন্ত
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রতিদিন প্রায় ৬০/৮০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা
দেওয়ার হয়। টিনশেডের জরাজীর্ণ ৩ রুম বিশিষ্ট উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটির দরজা
জানালা ভেঙে গেছে অনেক আগেই। ভিতরে স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা। মশা
মাছির ব্যাপক উপদ্রব।
হাসপাতালের সামনের খোলামাঠে মলমূত্রের দুর্গন্ধযুক্ত পচা পানি থৈ থৈ
করে একটু বৃষ্টি হলেই। আর উত্তর পাশে পচা পানি জমে ছোটখাট একটি
ডোবায় পরিণত হয়ে আছে। পরিত্যক্ত পায়খানার মলমূত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দরজা
পর্যন্ত প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া
উপজেলা সদরের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দুর্গন্ধময় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
দুর্গন্ধযুক্ত পানি জমে থাকায় উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে দিয়ে ভিতরে
প্রবেশ করা যায়না। হাসপাতালের দক্ষিণ পাশ দিয়ে দেড় ফুটের একটি রাস্তা
দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হয় চিকিৎসকসহ রোগীদের। দুর্গন্ধযুক্ত পচা
পানি ও মলমূত্রের গন্ধে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোগীদের
ব্যাপক ভোগান্তির পোহাতে হয় প্রতিনিয়তই। আশপাশের পরিবেশ দেখে মনে
হয় হাসপাতালটি নিজেই অসুস্থ! পচাপানি ও মলমূত্রের গন্ধে হাসপাতালটির
পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দুটি রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করে নাকে কাপড় চেপে।
প্রশাসনের নাকের ডগায় উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটির চারপাশে নোংরা দুর্গন্ধময়
পরিবেশ থাকার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথাব্যথা নেই।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পৌর সদরের আমতলি মহল্লার শেফালি বেগম,
চান্দের বাজার মহল্লার হেলাল উদ্দিন ও দুদু মিয়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র আসেন
চিকিৎসাসেবা নিতে। এসময় তারা বলেন, সরকারি হাসপাতালের পরিবেশ
এমন নোংরা ও দুর্গন্ধময় হয় কোথাও কোনদিন দেখিনি। মশা মাছির যে
উপদ্রব এখানে চিকিৎসা নিতে আসলে আর বেশি অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে। মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ মো. আসাদুজ্জামান বলেন,
উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের আশপাশের দুর্গন্ধযুক্ত পচা পানি ও মলমূত্রের গন্ধে রোগীদের
চিকিৎসা সেবা দেয়া আমাদেরও ব্যাপক সমস্যা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সদরের
উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে খোলা মাঠটিতে মলমূত্রের দুর্গন্ধযুক্ত পানি জমে
থাকার কারণেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।