ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ঃ মহাষষ্ঠী পুজার মধ্য দিয়ে শুরু হল
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব। ভক্তের আর্ঘ্য গ্রহণের মাধ্যমে
আজ দশভুজা দেবী ষষ্ঠী পুজা আনুষ্ঠানিকতা শুরু । ফুলবাড়ীয়ায় অর্ধশত
মন্দিরের হিন্দু ধর্মের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান দূর্গোৎসবের প্রস্তুুতি
সম্পন্ন হয়েছে। ইউনিয়ন গুলোর মন্দিরে প্রতিমার সাজ সজ্জা ও মন্দিরের
আলোক সজ্জার কাজও শেষ। শেষ সময়ের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মন্ডপ পরিচালনা
কারীরা।
সরে জমিনে দেখাযায়, সনাতন ধর্মাবলম্বি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের
মধ্যে আসন্ন দূর্গোৎসবকে ঘিড়ে বিরাজ করছে উৎসব আমেজ। ঘরে ঘরে
চলছে পূজার প্রস্তুতি। হিন্দু বসতিতে চলছে ঘরদোর পরিষ্কার সাজ সজ্জা।
মন্দির গুলোতে ক্রমেই জমে উঠছে পূজার আমেজ।
সূত্র মতে ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সায়াহ্নে দেবী বোধনের মধ্যদিয়ে
পূজানুষ্ঠানের শুরু পরদিন দেবীর সপ্তাদী কল্পারম্ভ। বুধবার
সপ্তমী,বৃহস্পতিবার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা রাতে অনুষ্ঠিত হবে সন্ধি
পূজা। সবশেষ শনিবার বিজয়া দশমী। রাতে অনুষ্ঠিত হবে পূজা
সমাপন,দর্পণ ও বিসর্জন।
সোমবার ফুলবাড়ীয়ায় বিভিন্ন পূজা মন্ডব পরিদর্শন করেন উপজেলা
নির্বাহী অফিসার লীরা তরফদার ও ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ
কবিরুল ইসলাম। পৌরসভাসহ ১৩ টি ইউনিয়নে ৫৮ টি মন্দিরে শেষ
মুহুর্তে প্রতিমা সাজানোর কাজ শেষ করছে কারিগররা । সবচেয়ে বেশি
১৮টি পুজা মন্ডব রয়েছে পুটিজানাই ইউনিয়নেই ।
পূজা উদযাপনে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছরই মন্দির গুলোতে প্রশাসনের
পক্ষথেকে দেয়া হয় সহায়তা। আইন শৃংখলা বাহীনির পক্ষথেকে দেয়া হয়
নিরাপত্তা। বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদের উপজেলার শাখার যুগ্ম আহবায়ক
সঞ্জিব রতন দে জানান, মন্দিরের মূর্তি গড়তে খরচ পরছে ৩৫ হাজার থেকে ৪৫
হাজার টাকা। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে যথাযথ ভাবে পূজা পালন করতে
পারে সেজন্য সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার
ইনচার্জ শেখ কবিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি মন্দিরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা
নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপশি আনসার সদস্যরা ও মন্দিরের সার্বক্ষনিক
নিরাপত্তায় থাকবে।