মনোরঞ্জন চন্দ্র, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
ফুল সৌন্দয্যের প্রতীক তাই প্রতিদিন নওগাঁর রাণীনগরে কাগজের ও
পল্টাস্টিকের ফুল তৈরি ও বিক্রি করে প্রায় ৮ বছর ধরে জীবিকা নির্বাহ
করছেন মো. আব্দুল মান্নান (৫০)। ফুলকে কেনা ভালোবাসে ? ফুলের
সৌন্দয্যে মানুষ বাড়ির আঙিনায় ও বাড়ির আশে পাশের বিভিন্ন জায়গায়
ফুল চাষ করেন। কেউ বা আবার মৌসুমি ফুলের টব রাখেন বাড়ির ছাদ বা
ঘরের বারান্দায়। আর শিশুদের খেলনা কিংবা ঘরের সৌন্দয্য বৃদ্ধিতের কারনে ঘরে
রাখেন কৃত্রিম ফুল। তাছাড়া বিয়ে, জন্মদিনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে
কাগজের ফুল রয়েই থাকে। রাণীনগর থানার সামনে দেখা গেলো মো. আব্দুল
মান্নন নামের এক কাগজের ও পল্টাস্টিকের ফুল বিক্রেতাকে। ফুল বিক্রেতা
আব্দুল মান্নান রাণীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের বড়বড়িয়া
পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল সামাদের ছেলে।
জানা গেছে, আব্দুল মান্নানের পরিবাবে ২ছেলে ২মেয়ে ও তার স্ত্রী। আব্দুল
মান্নানসহ তিন ছেলে মেয়ে ও তার স্ত্রীরা নিজ বাড়িতে ফুল তৈরি করার জন্য
কাগজ ও পল্টাস্টিক কিনে এনে প্রতিনিয়ত রাত দিন ফুল তৈরি করেন। আর
সেই ফুল গুলো নিয়ে আব্দুল মান্নান সারাদিন কাঠফাটা রোদ বৃষ্টির মধ্যে
ফুল নেবে ফুল লাল-নীল রঙ্গিন কাগজের ও পল্টাস্টিকের ফুল। এমন করে গ্রামে
গঞ্জে পথে পথে মেঠো পথে হাঁক দিয়ে নিজ রাণীনগর উপজেলারসহ নওগাঁ
জেলার মহাদেবপুর, পোরশা, নজিপুর, সাপাহার, আত্রাই, জয়পুরহাট জেলার
হিলি, বিরামপুর, ফুলবাড়িসহ আরো বিভিন্ন জেলা উপজেলার গ্রামে গঞ্জে
হাটে বাজারে পাড়া-মহল্লার পথে পথে ঘুরে ঘুরে রঙ্গিন কাগজের ফুল ও
পল্টাস্টিকের ফুল বিক্রি করেন। যখন তিনি নিজ রাণীনগর উপজেলায় ফুল বিক্রি
করেন তখন তিনি নিজের বাড়িতে থাকেন। আর যখন বাহিয়ের জেলা ও
উপজেলাতে যাই তখন এক সপ্তাহ পড় পড় নিজ বাড়িতে ফিরে। প্রায় ৮ বছর
ধরে কাগজের ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। এ ব্যাবসা
দিয়ে এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। আরো তিন ছেলে মেয়েকে লেখা
পড়াসহ নিজের সংসার চালান আব্দুল মান্নান। নিজ হাতে তৈরী কাগজের ও
পল্টাস্টিকের ফুলই তো তার অন্ন জোগাতে সিংগভাগ ভ’মিকা রাখছে।
ফুলয়ে সৌন্দয্যের প্রতীক ফুল নেবে ফুল লাল-নীল রঙ্গিন কাগজের ও পল্টাস্টিকের
ফুল। এমন গ্রামে গঞ্জে পথে ফুল বিক্রেতার হাঁক শুনলেই গ্রাম গঞ্জের ছোট
বড় সকলেই ছুটে আসেন ফুল নিতে।
রাণীনগর থানার সামনে ফুল বিক্রির সময় তার সাথে কথা বললে তিনি জানান,
আমি ও আমার পবিবারের সবাই মিলে কাগজের ও পল্টাস্টিকের ফুল তৈরি করি।
পড়ে আমি ফুল গুলো নিয়ে নিজ রাণীনগর উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলা ও
উপজেলার গ্রামে গঞ্জে পথে পথে মেঠো পথে ফুল বিক্রি করি। নিজ
উপজেলায় যখন ফুল বিক্রি করি তখন আমি বাড়িতে থাকি। আর যখন
বাহিয়ের জেলা ও উপজেলাতে ফুল বিক্রি করতে যাই তখন এক সপ্তাহ পড় পড়
নিজ বাড়িতে ফিরি। আমি প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা টাকা পর্যন্ত
আয় করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। তিনি আরো জানান, আমি যখন
বাহিরে ফুল বিক্রি করি তখন আমার স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরা বাড়িতে রাতে ও
দিনে ফুল তৈরি করেন। ব্যবসা যদিও লাভজনক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমার এ
ব্যবসায় করতে হয়। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসের, ট্রেনের ছাদে
যাই।#