সোহেল রানা সোহাগ,সিরাজগঞ্জ থেকে:
আমরা এলাম বটে, বাইচ খেলাতে জোড়া পেলাম না ” লোকোগীতির মধ্য
দিয়ে চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশে নৌকা বাইজ প্রতিযোগিতা শুরু
হয়েছে। আর এই নেীকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে ঢল
নেমেছিল হাজারো দর্শকের । প্রথম দিনে ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন
চলনবিলের তাড়াশ,ভাংগুড়া,উল্লাপাড়া,চাটমোহর,গুরুদাসপুর ও সিংড়া
উপজেলা থেকে আগত প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি বাইচছাল নৌকা ।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের মহিষলুটি বিদ্যাধরের বিলে ওই নৌকা
বাইজের আয়োজন করেন উওর বঙ্গের সর্ববৃহত দেশীয় মাছের আড়তের
মহিষলুটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি। প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরুস্কার ১
টি ফ্রিজ,২য় পুরুস্কার ১ টি রঙ্গিন টেলিভিশন। এছাড়াও প্রতিটি
প্রতিযোগি নৌকার জন্য রয়েছে সান্তনা পুরুস্কার। বুধবার নৌকা
বাইজে ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধু,জয়বাংলা,ওয়াটার
কিং,সোনার তরী,নীল সাগর,অনুপ্রমা,ময়ুরপঙ্খী সহ হরেক রকম নামের
বাইছাল নৌকা। মূলতঃ চলনবিলের মানুষের অনন্দ দিতেই ওই নৌকাগুলো
তৈরি করা হয়েছে বলে জানান, চাটমোহরের বাইচছাল কলিম শেখ (৫৫) ।
বুধবার দুপুর থেকে নৌকা বাইজ প্রতিযোগিতা দেখার জন্য চলনবিল
এলাকার ৯ টি উপজেলার হাজার ,হাজার উৎসাহী জনতা ভীড় জমাতে থাকেন
আনন্দ উপভোগ করতে । বাইজের নৌকা গুলো ঢোল,খনজনী সহ নানা বাদ্য
যন্ত্র বাঁজিয়ে উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন সন্ধ্যা অবধি। পরে
প্রতিযোগিতা শেষে আনন্দরেশ টেনেই বাড়ির পথে পা বাড়ান বাইচছাল
নৌকার সৌখিন মাঝি মাল্লা ও দর্শক। সাঙ্গ হয় চলনবিলের তাড়াশের
ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইজ প্রতিযোগিতা ।