অনলাইন ডেস্কঃ
রোহিঙ্গাদের দেখলে আমার কান্না পায়। কারণ তাদের যে অবস্থা নিজ চোখে দেখলাম তাতে মনে হয়েছে আজ রোহিঙ্গারা খুবই অসহায়। তাদের খাদ্যের অভাব, থাকার জায়গা নেই। আসলে বলতে গেলে সত্যিই তারা অসহায়। উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে একথা বললেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ।বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনটার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এরশাদ।
এসময় এরশাদ আরো বলেন, ‘মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্যাতন চালাচ্ছে তা গণহত্যার শামিল। অবিলম্বে নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। এ বর্বরতা বন্ধ না করলে জাতিসংঘের উচিত শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা।’রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের পাশে আছে।
যতদিন আপনারা ফিরে না যাবেন, এই দেশের মানুষ আপনাদের সহায়তা করে যাবে।’এসময় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমি হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু, মেজর (অব.) খালেদ, সাংসদ ইয়াহিয়া চৌধুরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির ২৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় টিম কক্সবাজারে আসেন।
তারা প্রথমে বালুখালী ও পরে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ করেন।গেলো ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা দুই ডজনের বেশি সেনা ও পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায়। এর পরই হামলা-নির্যাতন-ধর্ষণের শিকার প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা অভিযোগ করেছেন, বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পুরুষদের ধরে ধরে নিয়ে হত্যা করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে আর মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দিচ্ছে।