ঢাকা: জঙ্গিবাদ নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এই কারণে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
রোববার (১৭ জুলাই) রাতে পুলিশ টেলিকম ভবনে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত জঙ্গি দমনে নিহত পুলিশ সদস্যদের মৃত্যুতে স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না। শোককে শক্তিতে পরিণত করে যারা জঙ্গিবাদের মদত দিচ্ছে তাদের পরাজিত করতেই হবে। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে ও সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে এ সঙ্কট সমাধান না করলে আমরা কেউই টিকে থাকতে পারব না। জঙ্গিবাদ নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় জাফরুল্লাহকে আইনের আওতায় আনা হবে।
গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ জঙ্গিবাদকে ‘এক ধরনের প্রতিবাদ’ বলে মন্তব্য করেন। পুলিশের অত্যাচারের কারণেই জঙ্গিবাদের মাধ্যমে এ প্রতিবাদের সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি। তবে প্রতিবাদের ধারাটি গ্রহণযোগ্য নয়, অবিবেচনা প্রসূত। এটি ভুল পদ্ধতি। এটাকে আমরা মেনে নিতে পারি না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
একই দিন দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার আছাসুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘গত ১৩ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দেয়া বক্তব্যে আমি হতবাক। তিনি বলেছেন, ওসি সালাউদ্দিন অনেককে ক্রসফায়ার দিয়েছিল, তার মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত। বনানী থানার ওসি হয়েও তিনি গুলশানে কেন গেলেন, এরও তদন্ত চেয়েছেন তিনি- যা জঙ্গিবাদকে মদত দেয়ার শামিল। প্রচলিত আইনে এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নিহত পুলিশদের স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, একেএম রহমতুল্লাহ এমপি, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ।