মোঃ আশিকুর রহমান টুটুল, নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য প্রচীন কালের উত্তরের জনপদের অতি জনপ্রিয় লোক
সাংস্কৃতি গানে মধ্যে অন্যতম পালা গান যা আজ তার ঐতিহ্য হারিয়ে
বিলুপ্তির পথে। প্রাচীন কালের গ্রাম বাংলার মাটি ও মানুষের প্রানের গান
মুরশিদি, শরিয়ত-মারিফত, পালা, জারি-সারি, ভাটিয়ালী, কাওয়ালী অত্যতম।
যুগের আবর্তে বর্তমান আধুনিক যুগে আমাদের গ্রাম বাংলার মানুষের
মাঝ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐ সকল গান গুলি। যে গানের মাধ্যমে গ্রামের
মাটি ও মনুষেরা খুজে পেত তাদের দৈনন্দিন জীবনের সুখ ও দুঃখ। আজ থেকে
৮/১০ বছর আগেও পালা গানের বেশ প্রচলন দেখা গেছে উত্তরজনপদের
ঐতিহ্যবাহী নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া সহ বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লায়।
যে খানে সন্ধা থেকে বাড়ি সংলগ্ন খোলা আকাশের নিচে বা টিনের চাল
করে শপ, পাটি ও খরকুটো পেতে গ্রামের ছোট-বড় সকল বয়সী নারী ও পুরুষ
মিলে হাজারো মানুষের ঢলে রাত ভর জমজমাট ভাবে উদযাপিত হতো এই পালা
গানের আশোর। যার বিনিময় এলাকায় বিরাজ করতো উৎসব মুখর পরিবেশ।
আজ তা শুধুই গল্পের মতো। গত কাল বৃহস্পতিবার (২০এপ্রিল) রাতে নাটোরের
লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ওয়ালিয়া পশ্চিম বাজারে গ্রাম বাংলার
মানুষে অন্যতম জনপ্রিয় পালা গানের আশর বসে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর
ওয়ালিয়া গ্রামের আব্বস উদ্দিনের উদ্যোগে এক দিন ব্যাপি এই পালা
গানে আশোরে রাজশাহী বেতার শিল্পী আবুল হোসনের সভাপতিত্বে প্রধান
অতিথি হিসেবে ছিলেন ওয়ালিয়া ইউপির চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান
(মাষ্টার)। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, ওয়ালিয়া বাজারের বিশিষ্ট
ব্যাবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ, ওয়ালিয়া ইউপির ৪নং ওয়ার্ড সদস্য
আমির হোসেন, ওয়ালিয়া বাজার কমিটিার সাধারণ সম্পাদক মুনছুর
রহমানপ্রমুখ। উক্ত পালা গানের আশরে নাটোর ও রাজশাহী অঞ্চল থেকে বিভিন্ন
লালন শিল্পীরা শরিয়ত- মারিফত ও ভক্তি মূলক গান পরিবেশন করেন । এসময় এই
পালা গান শোনার জন্য অত্র এলাকার ছোট-বড় সকল বয়সী নারী-পুরুষ ও হাজারো
উৎসুক জনতা ভীর জমায়। গানের আশোর বসে গ্রাম বাংলারর এই আশোরে
উপস্থিত হতে পেরে আমার ভিশন ভালো লাগছে।এই ধরনের গানের উৎসব
গ্রামে আরো হলে এলাকার মানুষের জীবনে নতুন করে আনন্দ ও গ্রাম বাংলার
সাংস্কৃত সম্পর্কে আগামী প্রজন্মে ধারনা যোগাবে। যার মাধ্যমে তরুন
প্রজন্ম সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক থেকে বিরত থাকবে।