কিশোরগঞ্জ: জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানালেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক। শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে সুধী সমাবেশে আইজিপি এ আহ্বান জানান।
স্পেশাল ধর্মীয় নেতারাই তরুণদের মগজ ধোলাই করছেন উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘জঙ্গিরা উত্তরবঙ্গে, কুষ্টিয়া, পাবনাসহ সারাদেশে যতো ঘটনা ঘটিয়েছে, তার মধ্যে প্রায় নব্বই ভাগ ঘটনাই উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে, অস্ত্র, বোমা উদ্ধার হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পেয়েছি, তাতে সুকৌশলে ওইসব তরুণের মগজ ধোলাই করা হয়।’
আইজিপি শহিদুল হক ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘প্রথমে তরুণ-যুবকদের টার্গেট করা হয়। এরপর তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে পরবর্তীতে কোরআনের আয়াতসহ কিছু বই-পুস্তক দেয়া হয়। সবশেষে স্পেশাল ধর্মীয় নেতাদের কাছে রেখে তাদের মোটিভেট করা হয়। নেতারা বুঝায় যে, এই পথটাই একমাত্র পথ, যেখানে সহজেই বেহেশতে যাওয়া যায়। এইভাবেই মগজ ধোলাই করে তরুণদের জঙ্গি পথে ধাবিত করা হচ্ছে।’
।
জেলা পুলিশের আয়োজনে সুধী সমাবেশে অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘পরিবারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সন্তান কোথায় যায়, কী করে, আচার-আচরণে কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ছে কি না, সব বিষয়ে নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশের সহযোগিতা নিন। না হয়, দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব হবে না।’
ধর্মের নামে যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে, তাদের কোনো ছাড় নেই বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আইজিপি বলেন, ‘এরা ইসলামের শত্রু, মানবতার শত্রু।’
জঙ্গি দমনে বিশেষ ভূমিকা পালন করায় সমাবেশে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি হামলায় নিহত দুই কনস্টেবলের আত্মত্যাগের কথাও তুলে ধরেন বিভিন্ন বক্তা। সমাবেশে আইজিপির সঙ্গে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা