অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতা কার কতটুকু সেটা না দেখিয়ে জনস্বার্থে ক্ষমতা কতটুকু প্রয়োগ করা যায় সে বিষয়টি বিবেচনায় থাকতে হবে। তিনি বলেন, সব ক্ষমতা জনগণের। দেশের আইন প্রণয়ন হয় জনগণের স্বার্থেই।
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের জন্য নবনির্মিত আবাসিক ভবন’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দশ কাঠার অধিক পরিমাণ জমিতে ভূমিকম্প সহনীয় ২৫তলা অফিস-কাম-বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে বিএসসির নিজস্ব তহবিল থেকে ৬৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। টাওয়ারে ২৫টি ফ্লোরে আনুমানিক ১ লাখ ২৯ হাজার বর্গফুট স্পেস রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব থাকা যাবে না। তিনটি অঙ্গকে যথাযথভাবে তাদের পরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে। তাহলে রাষ্ট্র ভালোভাবে চলবে। দ্বন্দ্ব জাতির জন্য ভালো না। এতে জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, বিচারকদের অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এজন্য তাদের নিরাপত্তাটাও খুব জরুরি। ইতোপূর্বে দুই জন বিচারপতিকে বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে। বিচারপতিদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আলাদা পরিবেশে তাদের আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটা আইন এতগুলো ধাপ পেরিয়ে পাস হয়। সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলা আছে, ক্ষমতার মালিক হচ্ছে জনগণ। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আইন প্রণয়ন করছে। আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে জন প্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে হয় যাতে জনস্বার্থ ক্ষুণ্ন না হয়। সেই আইন দুজন বসে নাকচ করে দিলে আর কিছুই করার থাকলো না। এতদিন ধরে খাটাখাটুনি করলো সবগুলো ব্যর্থ হয়ে গেল। এসব ক্ষেত্রে আরও বিবেচনা করা উচিত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ ছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহিদুল্লাহ খন্দকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।