বাসস,
সংবাদ পরিবেশনে জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সংবাদ ও মতামত পরিবেশনে দেশ-জনগণের প্রতি জবাবদিহি থাকারও কথা বলেন তিনি।
আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বজলুর রহমান স্মৃতি পদক-২০১৬ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মত প্রকাশে গণমাধ্যম এখন পুরোপুরি স্বাধীন। তাই আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে যাতে বহিরাগতরা হস্তক্ষেপ করতে না পারে। এ জন্য আপনাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেলফ সেন্সরশিপ প্রয়োগ করতে হবে।’
আবদুল হামিদ বলেন, সরকার এ ব্যাপারে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের কষ্টার্জিত গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিকাশে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিরাট দায়িত্ব রয়েছে। যেকোনো সংবাদের ব্যাপারে গুণগত মান ও বস্তুনিষ্ঠতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আবদুল হামিন বলেন, ‘গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র আন্তসম্পর্কিত। গণতন্ত্র ছাড়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায় না। দেশে গণতন্ত্র বিকশিত হলেই গণমাধ্যম সম্প্রসারিত হয়।’
মুক্তিযুদ্ধের অজানা ইতিহাস তুলে ধরার ক্ষেত্রে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করে আগামীতেও এ কাজ চালিয়ে যেতে বজলুর রহমান স্মৃতি পদক সাংবাদিকদের উৎসাহিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
এ বছর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক সমকালের ওয়াকিল আহমেদ হিরণ ও যমুনা টেলিভিশনের উপসম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আহমেদ বজলুর রহমান স্মৃতি পদক পেয়েছেন।
পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রাজনীতিক নেতা ও পদস্থ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান বক্তব্য দেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. সারোয়ার আলী, জিয়াউদ্দিন তারিক আলী, জুরি বোর্ডের সদস্য ফরিদুর রেজা সাগর ও রোবায়েত ফেরদৌস।