রামগঞ্জ প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরশহরস্থ
জনতা ব্যাংক শাখায় শনিবার (৮ই এপ্রিল) গভীররাতে
২০লাখ ৪৭ হাজার ৯ শত ১৯ টাকা লুটের ঘটনায়
রামগঞ্জ থানায় মামলা রুজু হয়েছে। রোববার দুপুরে
ব্যাংকের ব্যাস্থাপক আরমান হোসেন পাটোয়ারী বাদী
হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা রুজু করে।
ব্যাংক ডাকাতি ঘটনার ২দিন পরেও কোন রহস্য
উৎঘটন কিংবা কাউকে আটক করতে পারেনি বলেই
জানান উপজেলা আইন শৃংঙ্খলা প্রশাসন।
থানার ২শত গজ সামণে এমন ঘটনায় ব্যবসায়ীদের
মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে।
সরজমিণে ব্যাংকে গেলে দেখা যায় ব্যাংকে
কর্মরতদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। রোববার
ব্যাংকে লেন-দেন করার জণ্য গ্রাহকদের উপস্থিত দেখা
যায়নি। ব্যাংকের ব্যাস্থাপক আরমান হোসেন জানান
ব্যাংকের উদ্বোতণ কত্তৃপক্ষের আদেশমতে
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা যাবেনা বলে এড়িয়ে
যান।
ব্যাংক সূত্রে জানান ঘটনার তদন্তে ব্যাংকের প্রধান
শাখা,জিএম কুমিল্লা শাখা,চট্রগ্রাম রেঞ্জ থেকে
অতিরিক্ত ডিআইজি,নোয়াখালী থেকে ডিজিএম
ঘটনার তদন্ত করছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশ সুপার
আসম মাহতাব উদ্দিন,জেলা গোয়েন্দা.ডিবি
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে।
অনেকের মতে ব্যাংকে কলাপসিবল গেইট ভাংঙ্গা
নেই,ভল্টও ভাংঙ্গা নেই।সিসি ক্যামরা ব্যাংকে ছিল
বলেই মনে হয়না। ভল্টে ৩টি ধাপে ৩টি চাবি তার
মধ্যে একটি ম্যানেজার,একটি অফিসার দিলিপ
কুমার,ক্যাশিয়ার ইসমাইল হোসেনের কাছে ছিল। ওই
চাবি ৩টি তাঁঁদের কাছে রয়েছে। তাহলে ভল্টটি
কিভাবে খোলা হল? এ বলেই স্থানীয় জণমনে প্রশ্ন
জাগে।
স্থানীয়রা জানান জনতা ব্যাংক রামগঞ্জ শাখা দীর্ঘ
কয়েক বছর যাবত অণ্যান্য ব্যাংকের ছেয়ে ঝুঁকি
থাকলেও ব্যাংক কর্ত্তৃপক্ষের দৃষ্টি আসেনি।
ব্যাংকে সিসি ক্যামেরা অফিসে কিংবা অফিসে
যাতায়াতরত মার্কেটের গল্লিতে ছিলনা। মার্কেটের
গল্লির উত্তরে মেইন সড়ক আর দক্ষিনের গল্লিতে
আবাসিক এলাকা আর তার মাঝখানে ব্যাংকের সিড়ি
বেয়ে দ্বিতল ভবনে ব্যাংকের শাখায় যেতে হয়। ওই
মার্কেটের নেই কোন সিকিউরিটি গার্ড।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার রাতে রামগঞ্জ পৌরশহরের জনতা
ব্যাংক শাখায় ব্যাংকের দারোয়ান মোবারক
হোসেনকে নেশাজাতীয়দ্রব্য ব্যবহার করে অচেতন করে
তাকে মারধর করে দুর্বৃত্তরা ব্যাংকের ভল্ট থেকে ২০ লাখ
৪৭হাজার ৯শত ১৯ টাকা হাতিয়ে নেয়।