সোহেল রানা সোহাগ,সিরাজগঞ্জ থেকেঃ
হে নূতন, এসো তুমি সম্পূর্ণ গগন পূর্ণ করি-পুঞ্জ পুঞ্জ রূপে– ব্যাপ্ত
করি লুপ্ত করি স্তরে স্তরে স্তবকে স্তবকে -ঘনঘোরস্তুপে।
বিশ্বকবির ‘বর্ষশেষ’ কবিতার এ কয়েকটি চরণের মতই সকল অন্ধকারকে দূরে
ঠেলে দিয়ে, আলোকোজ্জল নতুন এক আকাশের স্বপ্ন নিয়ে বাঙালি জীবনে
কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ- শুভ নববর্ষ-১৪২৪। কি ছোট কি বড় প্রতি
বাঙালির ঘরে ঘরেই চলছে এ বৈশাখকে মনের রঙে রাঙিয়ে তোলার প্রস্তুস্তি।
নানা বর্ণে, নানা ছন্দে চলছে এর আয়োজন। নতুন প্রাণের উচ্ছ্বাসে ভরা
বাঙালির এ আনন্দকে পূর্ণতা দিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের তাঁতিরাও
বসে নেই। তারা এখন পুরোদমে ব্যস্ত বৈশাখ েিনয়। বেশ কয়েক হাট ধরে
চলছে এ ব্রস্ততা। প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা তৈরি করছেন
বৈশাখের বিশেষ ধরনের ছোট-বড় শাড়ি, থ্রি-পিছ, ওড়না, লুঙ্গি, উত্তরিয়।
প্রতিটি কাজের মধ্যে তারা ফুটিয়ে তুলছেন বাঙালির ঐতিহ্য ও বৈচিত্রময়ী
সংস্কৃতির বিভিন্ন চিত্র। এবারে এগুলোর বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। এজন্যে
কোন কোন কারখানায় রাত জেগেও কাজ চলছে। এতে স্থানীয় তাঁতিদের
দীর্ঘদিনের দুর্দশার মাঝে অনেক খানি স্বস্থি নিয়ে এসেছে এবারের
বৈশাখ। শহরের মনিরামপুরের একটি প্রিন্ট কারখানায় গিয়ে দেখা যায়
সেখানে কারখানার মালিকসহ কয়েকজন শ্রমিক বৈশাখী শাড়ীর কাজ করছে।
কারখানার মালিক দুলাল জানায়, আগেকার চেয়ে বৈশাখের কাজ বেড়েছে। যত
অর্ডার আছে, তাতে পাহেলা বৈশাখের আগেরদিন পর্যন্ত কাজ করতে হবে।
শাহজাদপুরের কাপড়ের হাটে গিয়েই বোঝা গেল বৈশাখের আগমনী বার্তা।
হাটের প্রায় দোকানেই শোভা পাচ্ছে বৈশাখের রঙে রঙিন সব কাপড়। একই
সাথে দেখা গেল বিভিন্ন ক্রেতাদের ভিড়।