জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ থেকে :
অবিলম্বে সুনামগঞ্জ জেলাকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষনার দাবী
জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি এডভোকেট পীর ফজলুর
রহমান মিসবাহ্ধসঢ়;। বুধবার বিকেল ৩টায় সুনামগঞ্জের আলফাত
উদ্দিন স্কয়ারে জেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত জনসভায় প্রধান
অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবাণ জানান। তিনি বলেন সরকার
হাওর এলাকার আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশন উন্নয়ন প্রকল্পের
আওতায় জেলার ৩৭টি হাওরে মোট ৪৬ কোটি এবং কাজের
বিনিময়ে টাকা কাবিটা কর্মসুচির আওতায় ২১ কোটি টাকা
বরাদ্ধ দেয়। বরাদ্ধকৃত টাকার ৫০% অগ্রিম দেয়ার পরও কোন
ঠিকাদার ও পিআইসির লোকেরা বাঁধের কাজ ঠিকমতো করেনি।
ফলে পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টির পানি প্রায় বিনা বাধায় হাওরে প্রবেশ
করে জেলার একমাত্র অর্থকরী বোর ফসল তলিয়ে নিয়ে গেছে। এ
দুর্যোগ শুধু প্রকৃতি প্রদত্তই নয় এর জন্য ঠিকাদার ও
পিআইসিসহ পাউবোর কর্মকর্তা কর্মচারীরাও দায়ী। সুতরাং
গণদাবীর প্রেক্ষিতে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারকেই ব্যবস্থা
নিতে হবে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কোন ঠিকাদার
ও পিআইসির বিল প্রদান থেকে বিরত থাকার আহবাণ জানিয়ে
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় ১০ টাকা কেজি দরের
ন্যায্যমূল্যের চাল প্রদান দ্বিগুন করতে হবে। বকেয়া কৃষিঋন মওকুফ
করে নতুন করে ঋন প্রদান করতে হবে। সরকারী জলমহালগুলোতে
কৃষকের মাছ ধরার অধিকার দিতে হবে। তিনি বলেন বছরের একটি
মাত্র ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পর সুনামগঞ্জের কৃষকরা আজ
দিশেহারা। মানুষ প্রতি বছর এই বোরো ফসলের পেছনে তাদের
সর্বস্ব রাজি ধরে আশায় বসে থাকে। কিন্তু অতীব দু:খের বিষয়
আজ একদিকে প্রকৃতি আমাদের প্রতি বিমুখ হয়েছে
অন্যদিকে কিছু দুর্নীতিবাজ লোকদের সিন্ডিকেট আমাদের
কৃষকের আহারে হাত দিয়েছে। সাবেক এমপি এডভোকেট আব্দুল
মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মাস্টার, জাপা নেতা
মোহাম্মদ আলী খুশনুর,এডভোকেট শেখ জাহির আলী, সাবেক
কাউন্সিলর মনির উদ্দিন ও আব্দুর রশীদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।