গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: জালাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যাপক
অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে লিফলেটন ছাপিয়ে তা
প্রশাসন ও সাধারন মানুষের মাঝে বিতরন করেছে।
এলাকাবাসী ও লিফলেট সুত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ
ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: জালাল উদ্দীন
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও
অপকর্ম করে আসছে। লিফলেটে তার ৯টি অনিয়ম,
দুর্নীতি ও অপকর্মের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: জালাল
উদ্দীন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এতিম ও লিল্লাহ বোর্ডিং
এর দানের ১২০০ কেজি চাউল ও ১২৫ কেজি মুশুরের ডাল
নিজেই আতœসাত করেছেন। তিনি মাদ্রাসার আসবাপত্র
কেনার নামে ১৪০০ টাকা মুল্যের চেয়ার ২৬০০ টাকা করে
বিল করে মোট ১৬টি চেয়ারের দাম ১৯.২০০ টাকা
আতœসাত করেছেন। এ ছাড়াও গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া
কামিল মাদ্রাসার মসজিদের টাকার কোন হিসাব-নিকাশ
করেন না এবং আদায়কৃত ও দানের টাকা সে নিজেই
হস্তগত করে আতœসাত করেছেন। জাল স্বাক্ষর করে হাজার
হাজার টাকা লুটপাট করেছেন। গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া
কামিল মাদ্রাসা মার্কেটের দোকানি ও ভাড়াটিয়াদের কাছ
থেকে অবৈধ ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা আতœসাত করেছেন।
ফাঁকা ও ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে নিজের ইচ্ছা মত অংক
বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আতœসাত করেছেন। গোপালগঞ্জ
ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির অনুমোদন
ব্যাতিত অবৈধ ভাবে মোটা অংকের টাকা নিয়ে দোকান
বরাদ্দ দিয়েছেন। এ ছাড়াও অধ্যক্ষের এ সকল অবৈধ
কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে তিনি মাদ্রাসার শিক্ষক,
মুসল্লিসহ তাবলিগ জামাতের লোকদের কে অকথ্য ভাষায়
গালিগালাজ করে থাকেন। ইতিপুর্বে তার এ সকল অসদ
আচরন, দুর্নীতি ও অপকর্মের জন্য পুর্বস্থ কর্মস্থল
মাদারীপুর ও চট্রগ্রামের মিরেরশ্বরাই কয়েকটি মাদ্রাসা
থেকে বিতারিত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোপালগঞ্জ
ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসা মার্কেটের এক ব্যবসায়ী
জানান, গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ
মো: জালাল উদ্দীন মাদ্রাসায় অধ্যাক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার পর
থেকেই তার সকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা তার
কঠিন বিচার চাই।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোপালগঞ্জ
ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসা মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী
জানান, অধ্যক্ষ একজন দুর্নীতিবাজ ও পরসম্পদ লোভি লোক
তিনি অনেক অনেক দুর্নীতির সাথে জড়িত। আমরা
অধ্যক্ষের এ সকল অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে তিনি
মাদ্রাসার শিক্ষক, মুসল্লিসহ তাবলিগ জামাতের লোকদের
কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে থাকেন।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ
মো: জালাল উদ্দীনের ব্যবহৃত মোবাইল-০১৯৮৭- ৩৭৫৫৭৬ নম্বরে
যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কিছু
লোক ষড়যন্ত্র করে ওই লিফলেট ছাপিয়ে বিলি করছে। আমাকে
সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তারা এ কাজ করছে।
লিফলেটে যা লেখা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।