অনলাইন ডেস্কঃ
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ৩ গুণ ও বেসরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে ভূমি ব্যবহারের জন্য ৪ গুণ অর্থ জমির মালিককে পরিশোধের বিধান রেখে ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন-২০১৭’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নতুন আইন অনুযায়ী, জনস্বার্থে ধর্মীয় উপসনালয় সরানো যাবে। দেশের আইন অনুযায়ী জনসাধারণের কল্যাণের লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সরকারকে অধিকাংশ সময়ই অধিগ্রহণ করতে হয় সাধারণ জনগণের ভূমি। আর এ ক্ষেত্রে নানা ঝামেলা ও জটিলতা সৃষ্টি হতো বিভিন্ন সময়ে।
১৯৮২ সালের নীতিমালা দিয়ে পুরো বিষয়টি পরিচালিত হলেও, পুরনো অধ্যাদেশে বেশ কিছু বিষয় সংযোজন করে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন ২০১৭ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সোমবার সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে নতুন এই আইনটিতে অনুমোদন দেয় নীতিনির্ধারকরা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের জানান- সদ্য প্রণীত বিধি অনুযায়ী, সরকারি কোনো কাজে কারো ভূমি অধিগ্রহণ করা হলে, জমির দাম তিনগুণ এবং বেসরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে চারগুণ অর্থ ভূমির মালিককে পরিশোধ করতে হবে।
ভূমি অধিগ্রহণের ফলে জমির মালিককে ক্ষতিপূরণের অর্থ ৬০ দিনের পরিবর্ত ১২০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করা হবে জানিয়ে সচিব বলেন- অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে জনস্বার্থ ও উন্নয়ন।
ঐ আইনের পাশাপাশি, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংস কোনো আচরণের চিত্রায়ণ অথবা ধর্ষণের কোনো দৃশ্যপট চলচ্চিত্রে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সেন্সর বোর্ডের পরিবর্তে সার্টিফিকেশন বোর্ডের অনুশাসন যোগ করে জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালার খসড়াতেও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এছাড়াও, ঢাকা-কলকাতা যাত্রাপথে নতুন রুট হিসেবে ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে বেনাপোল দিয়ে কলকাতা ঢাকা-খুলনা-কলকাতা রুটেরও অনুমোদন দেয় সরকার।
ক্ষতিপূরণের অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে নজরদারির তাগিদ
ক্ষতিপূরণের অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে নজরদারির তাগিদ দিয়েছেন মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তরা এই অর্থ দিয়ে পুনর্বাসিত হচ্ছে কিনা সে বিষয়টিতেও লক্ষ্য রাখার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সোমবার বিকেলে সময় সংবাদকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি।
মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, ‘যে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা আছে সেটা তারা অনেক সময় পরিশোধ করে না। আর এর জন্য কোনো নিয়মকানুন নেই। যার ফলে এর উপর অনেক অভিযোগ রয়েছে। সে জন্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘চারগুণ ক্ষতিপূরণ দেয়া কথা বললেও সেই চারগুন টাকা যারা নেবে নিশ্চয়ই তাদের কাছে রয়েছে। কিন্তু যারা জমি হারাবে আর তারা যে চারগুণ টাকা দিয়ে তারা কি আবারও বাসস্থানের সংস্থা করতে পারবে। যেসব বিষয়েরও বিবেচনা রযেছে।