বাংলার প্রতিদিন ডটকম, ঢাকা ঃ
একদিনের বাঁশি বাজানোর ঘোষণায় দেশ স্বাধীন হয়নি। যারা এসব কথা বলে তারা দেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না। বঙ্গবন্ধুর সুচিন্তার কার্যক্রমে ফলই স্বাধীনতা। কে স্বাধীনতা দিয়েছে ইতিহাসে যেমন লেখা আছে, আদালতেও তা লেখা আছে। এ নিয়ে কিছু বলার নেই। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কৃষিবিদ ইনিস্টিটেউডে এ সভা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ এবং বাঙালির বঞ্চনার ইতিহাস যেনো জনগণ না জানতে পারে পঁচাত্তরের পর সেভাবেই ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। পঁচাত্তরের পর ২১ বছর তারা মিথ্যা বয়ান গেয়ে গেছে।তিনি বলেন, গণহত্যা দিবস পালন না করায় বিএনপি-জামায়াত জোট প্রমাণ করেছে, তারা আল বদরের দোসর।
বিএনপি-জামায়াত প্রমাণ করে দিয়েছে তারা এখনো আলবদর, আল শামসদের সঙ্গেই আছে। যারা মক্তিযুদ্ধে শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল, তাদের পাশে তারা নেই। যারা খুনিদের ক্ষমতায় বসায় তারা এদেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করে না, এটা মনে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। নতুন প্রজন্ম সেই বিকৃত ইতিহাস পড়ে বড় হয়। ১৯৯৬ সালে এসে প্রকৃতটা জানতে শুরু করে। মাঝখানে ফের খারাপ সময় গেছে। আমরা যখন ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এলাম তখন থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকৃত কথা জানা যাচ্ছে।
ক্ষুধার্ত মানুষকে দেখিয়ে নিজেদের ভাগ্য তৈরি করেছে বিএনপি-জামায়াত-এ কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিলাসবাসনে টাকার কথা চিন্তা করেছে তারা। দরিদ্র, খেটে খাওয়া ভূমিহীন মানুষের কথা চিন্তা কোর ক্ষমতা তাদের ছিল না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়, কারণ আমরা নিজেদের ভাগ্য গড়তে আসি না।
আমি শাসক না, সেবক হতে এসেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেবক হিসেবেই কাজ করে যাচ্ছি; তা করে যেতে চাই। পিতার কাছ থেকে সেটাই শিখেছি। তার স্বপ্ন ছিল দারিদ্র্য-ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ। বাংলার মানুষ একদিন ক্ষুধার হাত থেকে মুক্তি পাবে, শিক্ষা পাবে সেসব কথা তিনি সবসময় বলতেন।
আমি তা পূরণের চেষ্টা করছি।সরকার প্রধান আরো বলেন, আমাদের ঘরের শত্রু বিভীষণরাই সমস্যা। এদেশের মাটি এতোই ঊর্বর যে, ক্ষেতভরা ফসলও হয়; আগাছা-পরগাছাও জন্মে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে তাদের মনবেদনা হচ্ছে। যখন আমরা দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে সবধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি, যখন দেশটা এগিয়ে যায়; তখনই যেনো অন্তর্জালা শুরু হয় তাদের।