ভোলাসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে ভোলা সংলগ্ন মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেছে। সাগর উত্তাল থাকায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া উত্তাল। জোয়ারের পানিতে ভোলার বিচ্ছিন্ন ২০টি চর ও মূল ভূ-খণ্ডের ভেরিবাঁধের বাইরের এলাকা ৩/৪ ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে। এদিকে রবিবার সকাল থেকেই পুরো জেলায় কোথাও থেমে থেমে আবার কোথাও এক নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। ভোলা সদরের রাজাপুর এলাকায় এরই মধ্যে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তজুমদ্দিন উপজেলার চৌমুহনী ও হাজি-কান্দি এলাকায় এরইমধ্যে ভেঙে যাওয়া বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে তজুমদ্দিন উপজেলা সদরের অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অহিদুল্লাহ জসিম খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মানুষের বসত ঘরে ২/৩ ফুট পানি উঠে গেছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার এই প্রতিনিধিকে জানান, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া উত্তাল সেখানে স্বাভাবিকের চেয়ে ২/৩ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ঢেউয়ের তোড়ে ভোলা সদরের ইলিশা, রাজাপুর, দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা এলাকার ভেরিবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভোলার অন্তত ২০টি চর ৩/৪ ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে। এলাকাবাসী অতি দ্রুত ভাঙা বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।