অওরীন মাহামুদ (পারভেজ) কলাপাড়া প্রতিনিধি :
চরম ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে উপজেলার অন্তত: ২৫টি আয়রন ব্রিজ। দীর্ঘদিন ধরে এসব ঝুকিপূর্ন সেতু দিয়ে শিক্ষার্থী, পর্যটকসহ সাধারন মানুষ ও যানবহন চলাচল করছে। আর বেশ কয়েকটি গার্ডার ব্রীজ নির্মান করা হলেও সংযোগ সড়ক দু’বছরেও নির্মান না করায় বাধ্য হয়ে পাশের ব্যবহার অনুপযোগী সেতু পারাপার করছে এলাকাবাসী। সংশ্লিস্ট এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার আবেদন সত্বেও মেরামত কিংবা সংস্কারে বিষয়ে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে উদাসীন।সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ধানখালীর ব্যস্ততম সোমবারিয়া বাজার, নীলগঞ্জের এলেমপুর, দৌলতপুর, তাহেরপুর, লালুয়ার বানাতীবাজার, বানাতীপাড়া, মুক্তিযোদ্ধা বাজার, মিঠাগঞ্জের জয়বাংলা বাজার, মধুখালী, মহিপুরের কাটাভারানী, মুলাম খালের আয়রন ব্রিজ, কুয়াকাটার ধঞ্জুপাড়া আয়রন ব্রিজ, লতাচাপলীর ফাসিপাড়া, খাজুরা এলাকার আয়রন ব্রীজ গুলো ঝুকিপূর্ন ও ব্যবহার অনুপয়োগী হয়ে পড়েছে। এসব ব্রীজের পাটাতন নেই বললেই চলে। স্থানীয়রা কাঠ দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে রেখেছে। ফলে নিরুপায় হয়ে চরম ঝুকি নিয়ে এর উপড় দিয়েই চলাচল করছে যানবাহন, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। কোন কোন ব্রিজেসীমিত মানুষ পারাপারের নির্দেশনা রয়েছে। আবার কোন কোন ব্রীজে মোটর সাইকেলপারপারে বাধাঁ তৈরি করে রাখা হয়েছে।বানাতীবাজারের ব্রীজ ভেগেং যাওয়ায় এলকাবাসী এখন খেয়ায় পারাপার হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে রাতের আধারে একদল দুর্বৃত্ত সেতুর কাঠের স্লিপারসহ লোহার অনেক মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার লেবুরবন এবং দোভাষী পাড়ার ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক পর্যটক পারাপার হচ্ছে। পর্যটন বিবেচনায় এসব ব্রিজ নিমার্নেও কোন উদ্যোগ।এদিকে প্রায় দুই বছরের অধিকাল পূর্বে নির্মিত ধূলাসর, বানাতী বাজার, ডাবলুগঞ্জ’র কাটাভাড়ানী খালের উপড় গার্ডার ব্রীজ নির্মিত হলেও এখনও সংযোগ স্থাপন করা হয়নি। ফলে চরম ঝুকি নিয়ে পাশ্ববর্তী ভঙ্গ দশার ব্রীজ দিয়েই চলাচলকরছে মানুষ।এ বিষয়ে কলাপপাড়া উপজেলা চেয়ার আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেন, ঝুকিপূর্ন এসব আয়রন সেতুর স্থলে গাডৃার ব্রিজ নির্মান করা হবে। তবে জনগুরুত্ব বিবেচনায় কিছু আয়রন ব্রিজ খুব দ্রুত সংস্কার করা হবে।