ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় এক মোবাইল ফোন
ব্যবসায়ী খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হত্যাকা-ের প্রতিবাদে উপজেলা সদর নজিপুর বাসস্ট্যান্ড
বণিক কমিটির মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা এবং
খুনিদের চিহ্নিত করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী, হাসপাতাল, থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর
নজিপুর বাসস্ট্যান্ড ধামইরহাট রোডের আল মোমিন মোবাইল সেন্টারের মালিক আমিনুল ইসলাম
(৩২) প্রতিরাতের ন্যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ২২ মার্চ বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার
দিকে হরিরামপুর ভাড়া বাসায় যাওয়ার পথিমধ্যে কতিপয় সন্ত্রাসী কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে খুন হন।
পরে পথচারীরা ওই মোবাইল ব্যবসায়ীকে পড়ে থাকতে দেখেন ও স্থানীয়রা পতœীতলা সরকারি
হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আমিনুল
ইসলামের গ্রামের বাড়ি জেলার ধামইরহাট উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের চকহারা গ্রামে ও তার পিতার
নাম সামসুল ইসলাম (নেদু ম-ল)।
এ হত্যাকা-ের প্রতিবাদে উপজেলা সদর নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বণিক কমিটির মোবাইল ফোন
ব্যবসায়ীরা ধামইর রোডের দেওয়ান মার্কেটের সামনে দোকান বন্ধ রেখে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ
জানান। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বণিক কমিটির সভাপতি শহিদুল আলম
বেন্টু, সাধারণ সম্পাদক এজেড মিজান, ক্যাশিয়ার আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ। বক্তারা আমিনুল
হত্যাকা-ের সাথে জড়িতদের ফাঁসি ও এলাকায় আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরদারির দাবি করেন। এ
হত্যাকা-ের ঘটনাস্থল ও আশে পাশের এলাকা পুলিশ, র্যাব ও সিআইডির প্রতিনিধি দল নানা তথ্য
এবং আলামত সংগ্রহ করেছেন। পুলিশের ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত ও পেশাধারী খুনির মাধ্যমে
এ হত্যাকা- সংগঠিত হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নিহতের শ্যালক ময়নুল ইসলাম জানান, আমার জানা মতে কারো সাথে আমিনুলের পূর্ব কোন
শত্রুতা নেই।
এ বিষয়ে ধামইরহাট-পতœীতলা আসনের সাংসদ ও মহান জাতীয় সংসদের হুইপ মো: শহিদুজ্জামান
সরকার বাবলু বলেন, আমিনুল হত্যাকা-ের সাথে জড়িতদের দ্রুতসময়ের মধ্যে চিহ্নিত ও গ্রেফতারের
জন্য প্রশাসনকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আসামীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
পতœীতলা থানার নব্য যোগদানকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাজহার ইসলাম জানান,
নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ হত্যাকা-ের সাথে
জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছেন।