বগুড়া প্রতিনিধি: দেশে ইসলামিক স্টেট বা আইএস’র কোন অস্তিত্ব নেই বলে দাবি করলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক। আইএস’র কার্যক্রম যাতে দেশে না হতে পারে এজন্য গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে বলে জানালেন তিনি।
শনিবার বিকেলে বগুড়া পুলিশ লাইন্স মাঠে জেলা পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে তিনি কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইজিপি বলেন, হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়াসহ ৭টি সফল অভিযানে প্রধান জঙ্গিরা মারা গেছে, তবে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে পারিনি। কিছু বীজ রয়ে গেছে। কিন্তু তারা বড় কিছু করতে পারবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের দ্বারা তারা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার-শনিবার ২৪ ঘন্টায় দুটি জঙ্গি তৎপরতার ঘটনায় জঙ্গিরা কোন ম্যাসেজ দিচ্ছে কী?, এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন, জঙ্গিরা তাদের অস্তিত্ব জানান দিতে চাচ্ছে, আর আমরা চাই নির্মূল করতে। জঙ্গি নির্মূলে সুশীল সমাজ, মসজিদ, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। জঙ্গিদের বিষয়ে অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জঙ্গিদের অস্ত্র ও বিস্ফোরকের উৎস কী এ প্রশ্নের উত্তরে আইজিপি জানান, আমাদের দেশের সাথে অনেক দেশের বর্ডার রয়েছে। বর্ডার ক্রস করে এসব অস্ত্র ও বিস্ফোরক আসতে পারে।
মহাপরিদর্শক আরো বলেন, যেহেতু জঙ্গি নির্মূল হয়নি, সেকারণেই র্যাব’র প্রস্তাবিত হেড কোয়ার্টারে তারা সংক্ষিপ্তভাবে হামলা চালিয়েছে।তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নির্মূলে কাজ করছে।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন পুলিশের মহাপরিদর্শকের স্ত্রী ও পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) সভানেত্রী বেগম শামসুন্নাহার রহমান। এসময় আরও ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জ’র ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন বিপিএম, ডিআইজি, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার ফারুক আহম্মেদ বিপিএম, স্থানীয় সাংসদ আব্দুল মান্নান, হবিবুর রহমান, বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফ উদ্দিন, বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম নওগাঁ পুলিশ সুপার মোঃ মোজাম্মেল হকসহ অন্যান্যরা।