গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি,
উত্তর জনপদের এক কালের নন্দকুজা নদী নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার বুক চিরে
বয়ে যাওয়া নন্দকুঁজা, আত্রাই, গুমানী, গুরনই, তুলসী, বানগঙ্গা, কাঁটা, হরদমা ও
খুবজীপুর নদী এখন পানি শুকিয়ে নাব্যতা হারিয়ে মরাখালে পরিণত হওয়ায় এই সকল
নদীতে এখন চলছে মাছধরা ও ধান চাষের মহোৎসব।
সরোজমিন গিয়ে দেখা যায়, গুরুদাসপুর ও সিংড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার
সাবগাড়ীতে রাবারড্যাম চালু রাখার কারনে নদীর পশ্চিমাঞ্চলে পানি সংরক্ষণের জন্য
ভাটি এলাকা পানি শূণ্য হয়ে পড়েছে। ফলে ভাটি এলাকার আবাদী জমিতে পানি
সেচ প্রক্রিয়া সম্পূর্নভাবে ব্যাহত হয়ে পড়েছে। অপর দিকে চারঘাটের উৎস মূখ
থেকে পদ্মার শাখা নদী হিসেবে প্রবাহিত ৩ টি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়
নন্দকুঁজা নদীর পানি শূন্য হয়ে পড়ায় এক দিকে যেমন উপজেলা গুলোর আবাদি জমির
সেচ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। অপর দিকে ওই নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায়
তীরবর্তী আহমেদপুর, চন্দ্রপুর, হোলাইগাড়ি, নাজিরপুর, বিয়াঘাট, মোল্লাবাজার,
গুরুদাসপুর,চাঁচকৈড় ও কাছিকাটা বানিজ্যিক হাট এলাকায় নৌপথে পণ্য আনা
নেয়া সম্পূর্নভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
এমনিতেই দখল আর দুষনের শিকার হয়ে আত্রাই আর নন্দকুঁজা নদী প্রায় বদ্ধ
জলাভূমিতে পরিণত হয়েছে। তার ওপর গ্রীস্ম মৌসুম আসতে না আসতেই জেলার
৯টি নদী পানি শূন্য হয়ে নাব্যতা হারিয়ে ব্যবহারের সম্পূর্ন অনুপযোগি হয়ে
পড়েছ্ধেসঢ়; । নৌচলাচলের পথ বন্ধের কারনে এলাকাবাসীর দেখা দিয়েছে সীমাহীন
দূর্ভোগ ।
দখল দুষন প্রতিরোধ এবং পুনঃখননের মাধ্যমে নদীগুলোর সচল অবস্থা ফিরিয়ে আনার
দাবী জানান এলাকাবাসী । আজ আন্তর্জাতিক নদী দিবসের প্রাককালে বর্তমান
সরকার ওই বদ্ধ নদীগুলোর দখল দূষন প্রতিরোধ করে পূণঃ খননের মাধ্যমে নদীকে পূর্নরায়
তার নব্যতা ফিরিয়ে দিয়ে সচল করলে এলাকাবাসীর আর্থ সামাজিক উন্নয়নে
ভূমিকা রাখবে বলে জোর দাবী জানান নাটোরে গুরুদাসপুর উপজেলা নদী বাঁচাও
আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আতহার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোল্লা
এমদাদুল হক।