গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে এক মাদ্রাসা
ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় সালিশে তিন তরুন
কে জরিমানার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেছে স্থানীয়রা। এ
ঘটনার পর মেয়েটির পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায়
ভুগছে। আতংকে তার মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
বিলম্বে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, গোাপলগঞ্জ জেলার
কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের বানিয়ারী
গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মেয়েটি স্থানীয় একটি
মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ফারুক বলেন,
আমি ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ
পাঠিয়েছি। আমরা এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। আইনি
ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি।
মেয়েটি সাংবাদিকদের জানান, তিনি একটি এনজিও
থেকে তার মায়ের নামে উত্তোলন করা ঋণের টাকার কিস্তি
দিতে পাশের বাড়ি যান। সেখান থেকে ফেরার পথে
বানিয়ারী গ্রামের পান্নু চৌধুরীর ছেলে লেলিন
চৌধুরী (১৯), কাইয়ুম চৌধুরীর ছেলে সাগর চৌধুরী
(১৮) এবং তাদের আরেক সহযোগী (১৭) তার শ্লীলতাহানি
ঘটায়।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনায় পার্শ্ববর্তী কান্দি গ্রামের
রুস্তম মাস্টারের বাড়িতে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ
শেখ, এয়াকুব আলী শেখ ও স্থানীয় মাতুব্বর ইউনুচ
ব্যাপারী, রিয়াজ চৌধুরী, গাউচ চৌধুরীর সমন্বয়ে এ
সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সালিশ বৈঠকে তিন জনের
মোট এক লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বানিয়ারী গ্রামের এক যুবক
সাংবাদিকদের বলেন, তিন বখাটে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি
ঘটিয়ে ফৌজদারি অপরাধ করেছে। এ অপরাধ সালিশযোগ্য
নয়। এদের আইনের হাতে সোপর্দ করে বিচার করতে হবে।
এ ব্যাপারে মাতুব্বর রিয়াজ চৌধুরী সালিশ বৈঠকের
কথা স্বীকার করে বলেন, আমি কিছু সময় সালিশ বৈঠকে
থেকে পরে বাড়ি চলে আসি। শুনেছি অভিযুক্ত ৩ জনকে এক
লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, দুই মেয়েকে নিয়ে আমরা এখন চরম
আতংকে রয়েছি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমরা সিদ্ধান্ত
নিয়েছি আমার বড় মেয়েকে আর মাদ্রাসায় পাঠাব না।
আমি দোষিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। বখাটেরা আমার
মেয়ের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তারা যেন অন্য কোনো
মেয়ের সাথে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে না পারে। সে ব্যবস্থা
নেওয়া উচিত প্রশাসনের।