মুন্সিগঞ্জ সংবাদ দাতা:
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়ন থেকে নয়াকান্দি গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি স্থানীয় চাঁদাবাজির কারণে রাস্তার পুন:নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
এই যদি অবস্থা হয় সাধারণ মানুষ আসলে যাবে কোথায়? এলাকাবাসী স্থানীয় চাঁদাবাজির বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, গজারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েও এর প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এলাকাবাসীর দাবি এ কাজে যারা চাঁদাবাজি করে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হউক।
এলাকাবাসীর অভিযোগ গত ২০ বছর যাবত এই রাস্তায় কোনো কাজ হচ্ছে না। সেই আলোকে বর্তমান সরকার এখানে এই কাজের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে। এটা এই সরকারের সফলতা। অথচ এই সফলতা স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজের জন্য নস্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এই দায়ভার বর্তমান সরকারকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। মাটি ও মানুষের এমপি মহোদয় দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন।
জানা যায়, দীর্ঘ বছর পর যখন এই সরকার আমলে গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের রাস্তাটি পুর্ন সংস্কার ও সম্প্রসারণ কাজ শুরু হলো। ঐ মুহুর্তে কিছু মানুষ রুপী জানোয়ার সন্ত্রাসীরা রাস্তার বালু ভরাট কাজে নিয়োজিত সুমন মিয়ার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে।
স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাদের দাবীকৃত টাকা দেওয়ার পরও সুমন মিয়াকে মারধর করে আরো টাকা দাবী করে বলে জানায় ঠিকাদার আজিম খাঁন। এর পর থেকে এই রাস্তার কাজটি বন্ধ হয়ে যায়।
নয়াকান্দি গ্রামের ভোক্তভোগীরা যখন রাস্তার কাজ বন্ধ রাস্তাটির বেহাল অবস্থার ছবি গুলো সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে পোস্ট করে। জানতে চায় কেন রাস্তার কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার আজিম খান খোলাখুলি ভাবে জানান, নেকি এন্টার প্রাইসের নামে আমি এখানকার কাজ নিয়েছি। এলাকাবাসীর কাছে আমি দোষী। এটাই হওয়া কথা, তবে কেন আমি এই কাজ করতে দেরি করছি তা আপনাদের জানানো দরকার।
আজ বলার দরকার, আমি এই রাস্তার কাজ করার জন্য যখন মালামাল আনতে শুরু করলাম। প্রথম রাস্তার ওয়াল এর কাজ শেষ করলাম, তারপর পিলার বানালাম, এরপর রাস্তায় বালি রাখার জন্য ভিটিকান্দি গ্রামের সুমনকে বললাম। সুমন আমাকে বললো মামা আমি বালি দিবো। সে ভাবেই কাজ চলতে লাগলো। আপনাদের এলাকার কিছু ছেলে বালি ভরাট কাজে নিয়োজিত সুমন মিয়ার কাছে চাঁদা দাবী করে।
সেই মতে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দাবির মুখে ২০ হাজার টাকা চাঁদাও দেওয়া হলো। তারপরও চাঁদাবাজরা আরো টাকা দাবী করলো সুমনের কাছে। সুমন পরের পরিস্থিতি আমাকে জানায়। এই বিষয়টা আমি আপনাদের ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান সাহেবকে ফোন দিয়ে জানালাম।
এর একদিন পর শুনলাম সুমনকে মেরে জখম করেছে সেই চাঁদাবাজরা। এই পরিস্থিতিতে এরপর থেকে আমি এখানে এই কাজ বন্ধ করে রেখেছি।
যদি কাজ করতে গিয়ে চাঁদা দিতে হয় এবং মারামারি হয় সে জন্য এই দেরি করা। পরে লোকমুখে জানতে পারলাম, এরা নাকি নতুন চেয়ারম্যান নির্দেশে সুমনকে মেরেছে। আমিও চেয়েছিলাম এমন কিছু হোক তাহলেই মানুষ জানতে পারবে এর মুল কারণ।