মোঃ আশিকুর রহমান (টুটুল), নাটোর ব্যুরো প্রধান ,
নাটোরের লালপুর উপজেলায় বিনা চাষে রসুন চাষের পরিমান দিন দিন
বাড়ছে। বিনা চাষে রসুনের আবাদ এই অঞ্চলের মানুষের ভাজ্ঞ বদলে দিয়েছে।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল
ইসলাম খান জানান, গত ৭-৮ বছর আগে লালপুর উপজেলায় ৮০ হেক্টর জমিতে
রসুনের আবাদ হতে দেখা গেছে কিন্তু গত ৩-৪ বছর থেকে লালপুর উপজেলার
রসুনের আবাদ বেড়েই চলেছে যা চলতি বছরে উপজেলায় প্রায় ৮০০ হেক্টর
জমিতে রসুনের চাষ হয়েছে। ওয়ালিয়ার স্থানীয় রসুন চাষী হাবিবুর রহমান,
সোহেল রানা, মোস্তফা জানায়, এই আবাদের অন্যতম সুবিধা হলো বর্ষা
মৌসুমের রূপা আমন ধান কেটে বিনা চাষে শুধু জমি পরিস্কার করেই
রসুনের বিজ বপন করা হয়। এবং রসুনের উপরে সামান্য পরমানে রাসায়নিক
সার ছিটিয়ে হালকা খরকুটু দিয়ে ডেকে দিলেই রসুনের গাছ হয়ে যায়।
আর প্রয়োজন মতো দুই একবার পানি সেচ ও রসুনের জমির একবার
আগাছা দমন করলেই স¤পূর্ণ রুপে হয়ে রসুন যায়। ১ বিঘা জমিতে
রসুনের বীজ কিনে রোপন করলে মোট খরচ হয় ৩০ হাজার টাকা । আর এক
বিঘা জমিতে রসুন হয় ৩০-৩৫ মন পর্যন্ত যা অনান্য আবাদের চেয়ে কম
খরচে সল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভ করা য়ায় বলে এই অঞ্চলের কৃষক গন অনান্য
আবাদের থেকে রসুন চাষের উপরে ঝুকছে। রসুন চাষীরা বলেন, এবছর রসুনের
বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে তবে উৎপাদিত রসুনের সঠিক দাম ও সরকারী
পৃষ্ঠপষোকতা পেলে আগামিতে এই অঞ্চলে রসুন চাষের পরিমান আরো
বৃদ্ধিপাবে বলে আশবাদী এলাকার চাষীরা।