হেলাল শেখ, ঢাকা ঃ
বাংলাদেশে সাংবাদিকতা পেশায় দায়িত্ব ও জটিলতা বাড়ছে অনেক। যে সাংবাদিকতা সাগর-রুনি ও
রঞ্জুসহ সকল সাংবাদিক হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পারে না। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার
নেপথ্য কাহিনী জানাতে পারে না, ইলিয়াস আলী নিখোঁজ কাহিনীর রহস্য খোঁজতে ব্যর্থ হয়-
এমন সাংবাদিকতার ধ্যান-ধারণা কী পাল্টে দেয়ার সময় এলো এখন? বিবেক তাড়িত এমন নান্ধাসঢ়;
প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। আমরা দাবি করি আমি সাংবাদিক! কিন্তু আমাদের বিবেক
কোথায়? আমরা কি কখনো ঐক্যবদ্ধ হতে পারবো ? যদি ঐক্যবদ্ধ না হতে পারি তাহলে সাগর-রুনি ও
রঞ্জু’র মতো হত্যার শিকার একদিন হতে হবে হয়ত আমাদের অনেকেরই। নির্যাতন, হামলা, মামলার
শিকার থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে জরুরী ভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিশেষ করে ১/ সাংবাদিক মানে জাতির বিবেক। ২/ সাংবাদিক মানে দেশ প্রেমিক। ৩/ সাংবাদিক
মানে কলম সৈনিক। ৪/ সাংবাদিক মানে জাতির দর্পণ। ৫/ সাংবাদিক মানে জাতির সেবক। ৬/
সাংবাদিক মানে জাতির সম্মানিত। ৭/ সাংবাদিক মানে তদন্তকারী। ৮/ সাংবাদিক মানে আইন
বিষয়ে জানা। ৯/ সাংবাদিক মানে সহযোগিতা করা। ১০/ সাংবাদিক মানে সকল অফিস আদালতের
নিয়মনীতি মেনে স্বাধীন ভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করা। সামান্য ১০টি বিষয় উল্লেখ করা হলো।
রাজধানীসহ দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বেশিরভাগ থানাগুলোয় দিন দিন অনেক
সাংবাদিক দেখা যাচ্ছে চোখে পড়ার মতো, প্রকৃত সাংবাদিক আর ভুয়া সাংবাদিক দেখে চেনা-
জানা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই সাংবাদিকতা পেশায় বাড়ছে বিভিন্ন জটিলতা। অনেকেই
নিউজ লিখতে পারেন না তবুও সে সাংবাদিক! এর কারণে প্রকৃত সাংবাদিকদের লজ্জা, এ বিষয়ে
সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম হেলাল শেখসহ অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন, যে দেশে জাতির বিবেক
সাংবাদিদের উপর নির্যাতন, হামলা, মামলা হচ্ছে, তাহলে বিবেক বলতে আর কিছু রইলো না মানুষের
মধ্যে। আবার এই বিবেককে হত্যা করা হচ্ছে, এ যেন দেখার কেউ নেই। আবার কিছু লোক সংবাদপত্রে
কাজ করেন, একজন অন্যজনের হিংসা করেন কেন? বিশেষ প্রতিনিধি’র নিউজ উপজেলা প্রতিনিধি
দিয়ে ছাপানো হয় এটা কি ঠিক? আসলে আমার বাস্তবতায় অনেক মানুষের সাথে দেখা হয়েছে,
দেশের প্রায় জেলাগুলোতে দেখছি মানুষ কিভাবে পাল্টি খায়! এর নাম কি মানবতা? অনলাইনের নিউজ
পত্রিকার প্রধান খবর হয়। অনেক সময় পত্রিকার প্রতিনিধিদের অসম্মান করা হয়! গুরুত্ব দেয়া হয় অন্য
নিউজের। সাংবাদিকদের পেশায় কেন এতো জটিলতা? আমি জানি, আমার নিজের বলতে কিছু
ছিলো না, আজও মনে করি না যে আমার নিজের কিছু আছে। আমার বলতে কিছু নেই এটাই
সত্যি। কেন যে, আমরা নিজেদের জন্য জটিলতা সৃষ্টি করে থাকি আমরা। আজ মৃত্যু হলে কাল হবে
দুইদিন।
বিশেষ করে ১৫ বছর আগের সাংবাদিক আর বর্তমান সাংবাদিক একরকম নয়। আমরা নিউজ হাতে
লিখে বিভিন্ন গাড়ির স্টাফদের কাছে দিয়ে পত্রিকা অফিসে পাঠিয়ে দিতাম, সেই নিউজ দেখে
কোনো ভুল থাকলে ঠিক করে নিতেন বার্তা সম্পাদক, এখন কি তাই হয়? এখন অনেক সাংবাদিক
আছেন, তারা নিউজ চুরি করেন। হায়রে সাংবাদিকতা ঃ দেশ ও জাতির নিরাপত্তা ও কল্যাণে বর্তমানে
অনেক উন্নত হয়েছে দেশ। “পুলিশ জনগনের বন্ধু” জনতাই পুলিশ, পুলিশই জনতা। জনগণের সেবায়
কাজ করছেন যে পুলিশ ও সাংবাদিক-তারা বেশি ঝুঁকি নিয়ে জীবনযাপন করছেন। কিছু অসাধু
লোকের ভুলের কারণে অন্যদের কেন বদনাম হবে? তেমনি কিছু ভুয়া ও অপসাংবাদিকতার কারণে
প্রকৃত সাংবাদিকদের বদনাম হচ্ছে, এর অর্থ কি জানা প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি।
বিশেষ করে পূর্ণ নাম, মা-বাবার নাম, গ্রাম, থানা ও জেলা এবং মোবাইল নাম্বার সঠিক আছে কি
না, সে বিষয়ও সঠিকভাবে জানা প্রয়োজন। এ নিয়েও অনেক জটিলতা রয়েছে। যা সম্পর্কে সচেতন
হওয়া জরুরী বলে মনে করছেন অনেকেই। বিভিন্ন সংস্থা সুত্রে জানা যায়, সারা দেশে হলুদ ও
অপসাংবাদিকতা রোধে রেজিষ্টেশন করা হবে, প্রকৃত সাংবাদিকদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য
থাকবে। তথ্য অধিদফতর থেকেও এমনি তথ্য দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে কয়েক হাজার বিভিন্ন সংবাদপত্র
রয়েছে। মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার সাংবাদিক কাজ করছেন। ৩৫০ জন সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক যদি
মনে করেন, যে সকল পত্রিকা ও সকল পত্রিকার প্রকাশক/সম্পাদকের কাছ থেকে সাংবাদিকদের তালিকা
নেয়া যাবে। তাহলে সাংবাদিকদের তালিকা করা সহজ হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। এতে
সাংবাদিকতায় জটিলতা অনেকটা কমে যাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।