শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

মাহফিল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত শতাধিক

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
  • ২৩৬ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জের ছাতক পৌরশহরে কওমি মাদ্রাসার সমর্থক ও ফুলতলীর পীরের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আবদুল বাছিত বাবুল নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। পথচারীসহ প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেলে ওই নেতাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

নিহত বাবুল ছাতক শহরের বাঘবাড়ি এলাকার বাসিন্দা এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। ওসমানী মেডিকেলে আহতদের অনেকেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সুনামগঞ্জের ছাতক শহরে গণেশপুর  কওমি মাদ্রাসার সমর্থক ও জালালিয়া মাদ্রাসার ফুলতলী পীরের সমর্থকদের মধ্যে দুপুর ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। সেখানে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ও এলাকাবাসী সেখানে অবস্থান করছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কওমি সমর্থক ও ফুলতলীর সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ছাতকে বিরোধ চলছে। কয়েক দিন আগে কওমির সমর্থকরা জালালিয়া মাদ্রাসার সামনে ছাতক স্কুল মাঠে রোববার ওয়াজ মাহফিল করার ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। গতকাল রোববার কওমি মাদ্রাসার সমর্থকরা ছাতক স্কুল মাঠে ওয়াজ মাহফিল করে। ওই দিন দুপুরে তারা জালালিয়া মাদ্রাসার একটি ব্যানার ছিড়ে ফেলে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আজ সকালে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে ঘটনার মীমাংসা করে দেন। কিন্তু কওমি মাদ্রাসার সমর্থকরা দুপুর ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে জালালিয়া মাদ্রাসায় হামলা চালায়। এ সময় ফুলতলীর সমর্থকরাও পাল্টা ধাওয়া দিলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এরপর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীও। দফায় দফায় সংঘর্ষে ছাতক শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে ওয়াজ মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সুনামগঞ্জ শহর থেকে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।

সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।’

ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, ছাতকে একটি ওয়াজকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার ছাত্র ও ওয়াজের আয়োজকদের মধ্যে মারামারির সূত্রপাত হয়। কিন্তু এখানে পুলিশ প্রশাসনের লোক কম থাকায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় চার-পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে। একপর্যায়ে জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ আসে। কিন্তু তার আগেই মারামারি থেমে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451