গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখলের মহোৎসব চলছে।
কয়েক মাসের ব্যবধানে উপজেলার নড়াইল থেকে তালতলা
বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকার পুরোটাই দখল
হয়ে গেছে।
এ দখল প্রতিযোগিতায় নেপথ্যে রয়েছে কতিপয়
রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এ সব
জায়গার ওপর গড়ে তোলা হচ্ছে দোকানপাট, বসতবাড়ি ও
নানা অবৈধ স্থাপনা। এমনকি মসজিদ, মাদ্রাসা ও
এতিমখানার সাইনবোর্ড টানিয়ে দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত
রেখেছে। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক
কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ওয়াপদা
খালের তীরবর্তী নড়াইল থেকে তালতলা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩
কিলোমিটার জুড়ে সরকারী জায়গা দখলের মহোৎসব শুরু
হয়েছে। এ সব জায়গা দখল করে ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও
নানা অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে। অনেকে রোপন করে
দিয়েছে গাছের চারা। আবার অনেকে ভিন্ন কৌশল
হিসেবে প্রস্তাবিত মসজিদ ও মাদ্রাসার নাম সংম্বলিত
সাইনবোর্ড টানিয়ে রেখেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দিনের পর দিন ওয়াপদা খালের
তীরবর্তী সরকারী জায়গা দখল করে ঘরবাড়ি ও ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করলেও দেখার কেউ নেই।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক উপজেলার তালতলা এলাকার
একাধিক ব্যক্তি জানান, বাটু খান নামে স্থানীয় এক
প্রভাবশালী ব্যক্তি মসজিদ-মাদ্রাসার সাইনবোর্ড
টাঙ্গিয়ে ও দরিদ্র লোকজনকে সরকারী জায়গায় বসবাসের
সুযোগ দিয়ে পাউবো’র জায়গা দখলের চেষ্টা করছেন।
অপরদিকে, উপজেলার রামদিয়া বাজার সংলগ্ন এলাকায়
ওয়াপদা খাল দখলের চিত্র একই। সেখানেও পাউবো’র জায়গা
দখল করে গড়ে উঠেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়িসহ
নানা পাঁকা ও বহুতল স্থাপনা।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের
কাশিয়ানী অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী
মোঃ এমদাদুল হক বলেন, ওয়াপদার জায়গায় যারা ঘরে
তুলেছেন, তারা সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে তুলেছেন, ঘরগুলো
উচ্ছেদের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।