বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সৌরভের অর্থের অভাবের চিকিৎসা হচ্ছে না। আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি’র সভাপতি হেলাল শেখকে প্রাণঢালা অভিনন্দন

ঝিনাইদহে খননের অভাবে ১২ টি নদী এখন মরা খাল!

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

খননের অভাবে ঝিনাইদহের অধিকাংশ নদ-নদী পরিনত হয়েছে মরা খালে। ফলে নদীর

তীরে জেগে ওঠা চরে করা হচ্ছে চাষাবাদ। অন্যদিকে নদী দখল উৎসবে মেতে

উঠেছেন নদীর তীরে বসবাসকারী প্রভাবশালীরা। নদী দখলমুক্ত করতে বা খনন করে

পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না সংশ্লিষ্ট

কর্তৃপক্ষ।

জেলা প্রশাসকের দেওয়া তথ্যমতে, ঝিনাইদহের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদীগুলো

হল নবগঙ্গা, চিত্রা, কুমার, বেগবতী,গড়াই, ইছামতি, ডাকুয়া, কপোতাক্ষ,

কালীগঙ্গা, কোদলা, ফটকি ও বুড়ি। যার আয়তন ১৬ শ’ ৪১.৭৫ হেক্টর।

উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কনক কুমার

বিশ^াস জানান, ঝিনাইদহের নদ-নদীগুলো পূনঃখননের জন্য মন্ত্রনালয়ে প্রকল্প

পাঠানো হয়েছে। তা অনুমোদন হলে পূনঃখনন শুরু করা হবে।

একসময় ঝিনাইদহ নবগঙ্গা নদীতে পাওয়া যেত পর্যাপ্ত ঝিনুক। সেই সূত্র

ধরেই জেলার নামকরন করা হল ঝিনাইদহ। নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানান,

ঝিনাইদহের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ১২ টি নদী। এ নদীগুলো ছিল প্রচন্ড প্রমত্তা।

নদীতে পাওয়া যেত মিঠা পানির মাছ, চলাচল করত বড় বড় নৌকা। যার সূত্র ধরে

নদী পাড়ে গড়ে উঠেছিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

নদীর পানি দিয়ে করা হত চাষাবাদ। কিন্তু এ চিত্র এখন একেবারেই উল্টো। নদীর

বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠেছে বড় বড় চর। করা হচ্ছে ধান, সরিষা, কলাই,মশুরী,

পেঁয়াজ সহ ফসলের চাষাবাদ, চরানো হচ্ছে গবাদি পশু। নদীতে কমছে মিঠা

পানির মাছ। বর্ষা মৌসুমে নদীতে কিছুটা পানি থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে

চলাচল করা যায় হেটে। জেলার সব নদীর একই অবস্থ্ধাসঢ়; । এসব জেগে ওঠা চরে মরার

উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে নদী দখল। নদী পাড়ের প্রভাবশালী বাসিন্দারা

দেদার মেতে উঠেছে নদী দখল উৎসবে । একারনে একদিকে যেমন কমছে নদীর

প্রশস্থতা অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়েছে মাছ সহ জলজ প্রাণী। পরিবেশবিদদের

দাবী নদীগুলো অতিদ্রুত খনন ও দখল মুক্ত করে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহমানতা

ফিরিয়ে আনার।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451