শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

মানুষ কেন অপরাধী হয়?

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
  • ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে

 

হেলাল শেখঃ

বাংলাদেশের মানুষ শান্তি প্রিয়।“মানুষ কেন অপরাধী হয়?(ক্রাইম) বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি হওয়ার কারণ

কি?”মানুষ জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কোথায় কি অপরাধমূলক কর্মকান্ড করছেন তা কিন্তু মনে থাকে

সবার।“মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। কেন সেই মানুষ সচেতন হয়েও সচেতন নয়? সবাই যদি প্রকৃতভাবে

সচেতন হওয়া যায়, তাহলে সমাজ ও দেশ থেকে মানুষের অপরাধ অনেকটা কমে যাবে বলে অনেকেরই অভিমত। দেশে অনেক

প্রচার মাধ্যম রয়েছে, কেন এ বিষয়ে প্রচার করা হয় না।

বিশেষ করে “ মাদক, জুয়া ও দেহ ব্যবসা থেকেই অপরাধের সৃষ্টি হয়” এর সাথে বেকার কিছু নারী পুরুষের কাজ কর্ম

না থাকার কারণেও বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে তারা। মাদক ও জুয়ার টাকার জোগার করতেই মানুষ চুরি, ডাকাতি,

ছিনতাই, অপহরণ মুক্তিপণ, চাঁদাবাজি, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধ করছেন, সেই সাথে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হচ্ছেন

অনেকেই। আর কিছু পুলিশও মানুষের অপরাধ ছাড়াই রাস্তা থেকে ধরে আটক করে একাধিক মামলা দিয়ে কারাগারে

পাঠিয়ে ভুল করছেন। সেইসব মানুষ অনেকেই কারাগারে বন্দী থেকে প্রকৃত অপরাধীদের সাথে হাত মিলিয়ে জামিনে

এসেই বিভিন্ন ক্রাইম করছেন বলে তথ্য রয়েছে। কারাগারেও অপরাধীদের সিন্ডিকেট তৈরি হয়।

জানা গেছে, ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগের ৬৪ জেলা ও উপজেলার

আয়তন প্রায় ১৪৫৭০। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী এলাকা সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, টাঙ্গাইল, গাজীপুর,

উত্তরা, মিরপুর, গাবতলীর বেশিরভাগ এলাকায় এখন ক্রাইম জোন হিসাবে পরিচিত “ মাদক, জুয়া ও দেহ ব্যবসা জমজমাট

ভাবে চলছে এসব এলাকায়। এ বিষয়ে “ নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকেও সচেতন করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচার

চালিয়ে যেতে হবে। এতে একসময় দেখা যাবে সবাই প্রকৃতভাবে সচেতন হয়েছেন” সচেতন হওয়ার জন্য চেষ্টা

করাতো অপরাধ নয়। আর অপরাধী যেই হোক তার সাজা হবে এটাই জাতির প্রত্যাশা। বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ৩৫০টি

আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। সবাই যদি চেষ্টা করেন যে, নিজ নিজ এলাকায় সবাইকে

সচেতন করার জন্য সচেতনমূলক প্রচার শুরু করেন তাহলে সমাজ ও দেশ থেকে মাদক, জুয়া ও দেহ ব্যবসা অনেকটা বন্ধ করা

সম্ভব বলে মনে করছেন অনেকেই।

বিশেষ করে প্রতিটি জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে যদি রাজনৈতিক নেতা কর্মী এবং পুলিশ

প্রশাসন নজরদারি বৃদ্ধি করেন, হয়ত অপরাধ প্রবণতা অনেকটা কমে যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। উক্ত বিষয়ে

কয়েকজন সাংবাদিক, পুলিশ, আইনজীবি ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, প্রথমে অপরাধের সৃষ্টি শুরু হয় পরিবার ও সমাজ

থেকে। যেমনঃ পরিবারের কর্তা মা বাবা, সেই মা বাবাকে নজর দিতে হয় যে, তাদের সন্তান কোথায় যাচ্ছে? কার সাথে

যাচ্ছে? কি করছে? সঠিক পথে যাচ্ছে কি না সে বিষয়েও দেখার দায়িত্ব মা বাবাকে। এর পর সমাজ পরিচালনা করছেন

কারা? তাদেরকে আগে ভালো হতে হবে এবং সামাজে থাকা মানুষগুলো কেমন তা জানা দরকার। বিভিন্ন ভাবে আমরা

অনেকেই জানতে পারি যে, এলাকার চা বা মুদি দোকানদার, রিকসা চালক ও রাস্তা-ঘাটের লোকজন থেকে অনেক ব্যক্তি

সম্পর্কে। যেমনঃ কেউ সিগারেট ক্রয় করছেন, তাদেখে বোঝা যায় সে সিগারেট খায় বা ধুমপান করেন। কেউ জুয়া

খেলার কাছে বসে বা দাড়িয়ে আছেন এর কারণ কি? কেউ মাদকের স্পটে আসা যাওয়া করছেন এর মানে কি? কেউ দেহ

ব্যবসায়ী নারীর কাছে কেন যাচ্ছে? এ বিষয়ে সমাজের মানুষ পরিস্কারভাবে অনেকেই জানেন।

আইন আদালতে সবার জন্য সমান অধিকার। অপরাধ করা যেমন শাস্তি, আবার অপরাধীর তথ্য আড়াল করাটাও অপরাধ। অনেকেরই

অভিমত রয়েছে, থানার ওসি এবং জনপ্রতিনিধিরা ইচ্ছা করলেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে এলাকার অপরাধীদের আটক করতে পারবেন।

বলতে হবে এলাকায় কোনো বেকার থাকবে না, সবাইকে কাজ করতে হবে। সরকারি ও বে-সরকারি চাকুরির পাশাপাশি যে

কোনো বৈধ কাজকর্ম করতে হবে সবাইকে। সেজন্য বেকার যুবক, নারী ও পুরুষকে নজরদারিতে রাখা দরকার, এতে দেশ ও

জাতির কল্যাণ হবে। সবাইকে দেশপ্রেম থাকা প্রয়োজন। প্রতিহিংসার জাল থেকে সবাইকে বেড়িয়ে আসতে হবে

বলে মনে করছেন সচেতন মহল। দেশে বর্তমানে পুলিশ সাংবাদিক, আইনজীবি ও জনপ্রতিনিধিসহ কেউ নিরাপদ নয়।

যেখানে সেখানে হত্যার শিকার হচ্ছেন অনেক মানুষ। এ যেন দেখার কেউ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451