গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের গুরুদাসপুরে চাঁদপুরের শ্রীপুর ইউনানী দাওয়াখানার হাব্বে
সুরঞ্জান (শ্রীপুর ট্যাবলেট) ট্যাবলেট খেয়ে লাবনী আক্তার (১২) নামে এক
মাদরাসা ছাত্রীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার
দিকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে এবং
আরও পাঁচজন অসুস্থ্য অবস্থায় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
লাবনী আক্তার উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ঝাউপাড়া গ্রামের দিনমজুর
আব্দুল লতিফের মেয়ে । সে গ্রামের ঝাউপাড়া দাখিল মাদরাসার সপ্তম
শ্রেণিতে পড়তো। গুরুদাসপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার
মাহাতো সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু
(ইউডি) মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে নাটোর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক রবিউল করিম জানান, অল্প
বয়সে খালি পেটে ইউনানী ট্যাবলেট খাওয়ার কারনে ওষুধের বিষক্রিয়ায় ওই
ছাত্রীর মুত্যু হয়েছে।
লাবনীর দাদী লতিফুল বেওয়া জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে সাদা¯্রাবের সমস্যার
কারনে শারীরিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল। গত রোববার বাড়ির পাশ দিয়ে একব্যক্তি
মাইকিং করে ওষুধবিক্রি করছিল। ১০০ টাকায় ১০ বড়ি কিনে ওষুধ বিক্রেতার
পরামর্শে খালিপেটে সোমবার সকাল ৮টার দিকে একটি ট্যাবলেট খাওয়ানো
হয় লাবনীকে। ওষুধ খাওয়ানোর পর সে অস্থির হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে চিৎকার
গড়াগড়ি করলে তাকে গুরুদাসপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির
আধাঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাবনী মারা যায়। এছারাও একই
এলাকার ভোলা (৩৫), আবুল হোসেন (৭০), রিপন (২২), রোজিনা (২৫), ও
ইসরাইস হোসেন (২৭) সহ পাঁচজন ওই ট্যাবলেট খেয়ে গুরুত্বর অসুস্থ্য
অবস্থায় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
লাবনীর দাদীর কাছে থাকা থেকে পাওয়া ওষুধ পর্যবেক্ষণ করে দেখাগেছে,
লাবনীকে যে ওষুধটি (ট্যাবলেট) খাওয়ানো হয়েছিল তার নাম হাব্বে
সুরঞ্জান (এলাকায় এটা শ্রীপুর ট্যাবলেট নামে পরিচিত)। এটি চাঁদপুরের
শ্রীপুর ইউনানী দাওয়াখানা- ৩৬০০ বাংলাদেশ। ডি,এ আর, নং-ইউ- ১,এ ০০২,
উৎপাদন লাইসেন্স নং- ইউ-২৫৭। সুত্রঃ বাংলাদেশ জাতীয় ইউঃ ফর্মুলারী।
ওষুধটি সেবন করলে গ্রন্থি প্রদাহ,গ্রন্থি বেদনা,কটিবাত, গেঁটেবাত
সারবে।