সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন

চিরিরবন্দরে ৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
  • ২৪০ বার পড়া হয়েছে

 

প্লাবন গুপ্ত শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় ৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান

শিক্ষকের পদসহ ৩৪টি সহকারি শিক্ষকের পদ শূূন্য থাকায় চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে

পাঠদান কার্যক্রম। দীর্র্ঘদিন থেকে পদগুলো শূন্য থাকায় একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত

হচ্ছে শিক্ষার্র্থীরা তেমনি বাড়তি চাপ সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন

কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৯৭টি সরকারি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭২টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের এবং ৩৪টি

সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২০১৩ সালে ৪জন প্রধান

শিক্ষক ও ২০১৬ সাল পর্র্যন্ত ৭১জন পুলভূূূক্ত সহকারি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া

হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সহকারি শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষকের

পদ শূন্য থাকা বিদ্যালয়গুলোতে সহকারি শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজনকে দায়িত্ব

দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে কোনমতো চলছে ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও পাঠদান

কার্যক্রম। দীর্র্র্র্ঘদিন থেকে এ অবস্থা বিরাজ করায় প্রতিষ্ঠানগুলোর

প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি শিক্ষক স্বল্পতার কারণে অতিরিক্ত ক্লাস

নিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্মরত শিক্ষকরা। একইভাবে প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে

অধিক সংখ্যক নারী শিক্ষিকা নিয়োগ থাকায় এদের মধ্যে মাতৃত্বকালীন ছয়

মাসের ছুটিসহ প্রশিক্ষণে যাওয়ার কারণে ওইসব বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকদেরকে

অতিরিক্ত চাপ নিয়েই ক্লাস-পরীক্ষা নিতে হচ্ছে।

বেলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য্র মোরশেদ

উল আলম বলেন, প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের বিদ্যালয়গুলোতে সহকারি শিক্ষককে

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়ার কারণে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজে উপজেলা

শিক্ষা দপ্তরের ছুঁটাছুঁটির পাশাপাশি দুইটি ক্লাসও নিতে হচ্ছে। এতে করে

ওইসব শিক্ষক ক্লান্তি শরীরে ক্লাস নিতে গিয়ে পাঠদানের মনোযোগ হারিয়ে

ফেলছেন তেমনি ক্ষুদে কোমলমতি শিক্ষার্র্র্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে সুষ্ঠু

শিক্ষাগ্রহণ থেকে।

অভিভাবক মো. রফিকুল ইসলাম ও আফজার আলী খান বলেন, শিক্ষক স্বল্পতার

কারণে সুষ্ঠুভাবে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারছে না শিশু শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের

শিক্ষা জীবন নিয়ে উৎকন্ঠায় পড়েছেন অভিভাবকরা।

উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতারা বলছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান

শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য থাকায় অন্য শিক্ষকদের

ওপর বাড়তি চাপ পড়েছে। দাপ্তরিক ও পাঠদান কার্যক্রম চালাতে গিয়ে হিমশিম

খাচ্ছেন শিক্ষকরা। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের ওপর।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকিরুল হাসান বলেন, প্রধান

শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় বাড়তি চাপ পড়ছে অন্যান্য শিক্ষকদের

ওপর। তবে প্রাথমিক শিক্ষা কার্র্যক্রমে যে গতি এসেছে সেটিকে অব্যাহত

রাখতে শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য উর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নতুন

শিক্ষক নিয়োগ হলেই পদগুলো পূরণ হয়ে যাবে তখন এই সংকট থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451