নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকার’ এর প্রস্তাব নিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা চায় বিএনপি। শিগগির এই সরকারের রূপরেখা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের চেয়ে বেশি জরুরি নির্বাচনকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা। এই সরকার ব্যবস্থা কেমন হবে সেটি নিয়েই এই আলোচনা করতে চান তারা। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি এখন সেই দাবি থেকে সরে এসেছে। এরই মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি শুরু করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আর এই সময় নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমঝোতায় পৌঁছতে চায় বিএনপি।
গত ১৮ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন গঠনে ১৩ দফা প্রস্তাব তোলার সময়ই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রথম নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের কথা জানান। এ বিষয়ে যথা সময়ে রূপরেখা নিয়ে হাজির হওয়ার কথাও জানান তিনি। এরপর থেকে বিএনপি নেতারা এই বিষয়ে কথা বলে আসছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই সংবাদ সম্মেলনের এক মাস পর নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এক মাস সংলাপ শেষে গঠন করা সার্চ কমিটির সুপারিশের আলোকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের শপথ নেয়ার কথা আছে।