মোঃ আশিকুর রহমান (টুটুল), নাটোর ব্যুরো প্রধান:
ঋতুরাজ বসন্ত তার আগমনের বার্তা নিয়ে প্রকৃতির দরজায় কড়া নাড়ছে।
তাইতো প্রকৃতি এখন মেতে উঠেছে বসন্তের রঙ্গ ও রুপে নিজেকে
সাজাতে। নাটোরের লালপুর উপজেলার (ওয়ালিয়া-দয়ারমাপুর) রাস্তার ধারে শিমুল
গাছ এখন কুড়ি ও ফুলে রঙ্গীন হয়েছে। উপজেলার ফলজ বাগান গুলি মুকুলে
ভরপুর রাস্তার ধারদিয়ে (মেহগুনী ও কড়ই)সহ বিভিন্ন প্রজাতীর গাছ শীতের রুক্ষ
আবহাওয়া কাটিয়ে প্রকৃতি ফিরে পেতে চলেছে ফল,ফুল ও সবুজের এক
অপরূপ সমারহ যা এনে দিয়েছে বসন্ত । প্রকৃতির নিয়মে প্রতি ছয় মাস
অন্তর অন্তর ঋতু বদলায় তার রূপ রং আর সৌন্দর্য । ছয়মাস আগের প্রকৃতি
আর আজকের প্রূকৃতি মধ্যে অনেক পার্থক্য । প্রকৃতির নিয়ম ও
বয়জষ্টদের মুখ থেকে শুনা যায় এক ঋতুর আবহাওয়া আরেক টা ঋতুর ১৫ দিন
আগেই বিস্তার লাভ করে। তাই তো মাঘ মাস শেষ হতে না হতেই
প্রকৃতিতে বাইতে শুরু তরেছে ফাল্গুনের হাওয়া। ফাল্গুনের আবহাওয়ায় তীব্র
শীতের রুক্ষ আবহাওয়ায় জীরনো পাতা ঝড়া বৃক্ষের মাথায় দেখা দিয়েছে সবুজ
পাতা, কুলি ও ফুল । যেন প্রাকৃতি আবার নতুন সাজে সাজছে । বসন্তের
হাওয়ায় শিমুল ও পলাশ গাছে ফুটেতে শুরু করেছে ফুল আর সেই বার্তা নিয়ে
বসন্তের কোকিল গাইছে মিষ্টি শুরে কুহু কুহু গান। পলাশ গাছে ফুলের কলি
খাওয়ায় মেতে উঠেছে রাঙ্গা টিয়া। সেই সাথে আম, জাম, বেল, লিচুর
মুকুলের গন্ধে প্রকৃতি ভরপুর । তাই তো কবি নারীর সাথে বসন্তের তুলনা
করে বলেছিলেন নারী হয় লজ্জাতে লাল, ফাল্গুনে লাল শিমুল বন ।