প্লাবন গুপ্ত শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে পাথরের চাহিদার কারণে দিনাজপুরের হিলি
দিয়ে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কোটি টাকার পাথর ভারত থেকে আমদানি করা
হচ্ছে। পাথরের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় তীব্র যানজটসহ বিভিন্ন কারণে
বিপাকে পড়েছেন বন্দরের অন্য পণ্য আমদানিককারকরা।
হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পানামা হিলি পোর্ট
লিংক লিমিটেড সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য সময়ে প্রতিদিন গড়ে ৩৮ থেকে ৪০
ট্রাক বোল্ডার ও চিপস পাথর ভারত থেকে আমদানি করা হলেও বর্তমানে আমদানি
হচ্ছে গড়ে ৮৫ থেকে ৯০ ট্রাক। চলতি ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের জুলাই মাসে স্থলবন্দর
দিয়ে ভারত থেকে ১হাজার ১৩০ ট্রাকে ৫১হাজার ১০৫টন বোল্ডার ও চিপস পাথর
আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু আগস্ট মাসে সেটি বেড়ে হয়েছে ১হাজার ৭২৯
ট্রাকে ৭৮হাজার ৫৫৫ টন। সেপ্টেম্বরে ১হাজার ১১ ট্রাকে ৪৫হাজার ৬৫৫টন,
অক্টোবর মাসে সেটি কমে দাঁড়িয়েছিল ৭৮৭ ট্রাকে ৩০হাজার ৩৮৩টন। তবে
নভেম্বর মাসে পুনরায় বেড়ে যাওয়ায় আমদানি হয়েছে ২হাজার ১৫৮ট্রাকে
৯৩হাজার ৭৪৬টন, ডিসেম্বরে ২হাজার ২৫৪ট্রাকে ৯৮হাজার ৯১১টন এবং
জানুয়ারি মাসে ২হাজার ১১ট্রাকে ৮৮হাজার ৭৪০টন পাথর আমদানি হয়েছে।
এক্ষেত্রে গত সাত মাসে ১১হাজার ৮০ট্রাকে ৪লাখ ৮৭হাজার ৫৫০টন বোল্ডার ও চিপস
পাথর আমদানি করা হয়েছে এই স্থলবন্দর দিয়ে।
হিলি স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট রাশেদুল হক, পাথর আমদানিকারক
ফেরদৌস রহমান ও হেমেদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পাথর আমদানি বেড়ে যাওয়ায়
আমদানিকৃত পাথরগুলো পানামা পোর্টের ভেতরের পানামা ওয়্যার হাউজের পুরো
মাঠজুড়ে এবং বন্দরের ওয়্যার হাউজের এক তৃতীয়াংশ জায়গাজুড়ে রাখার কারণে
জায়গা সংকটে পড়েছেন অন্যান্য পণ্য আমদানিকারকদেরকে।
হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পানামা হিলি পোর্ট
লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন,
হিলি স্থলবন্দরের জন্য অধিগ্রহণকৃত নতুন জমিতে বালু ভরাটসহ বাউন্ডারী ওয়াল
নির্মাণ কাজ চলছে। কাজ শেষ হলেই বন্দরের জায়গার স্বল্পতার সমস্যাটি সমাধান
হবে।
হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব বলেন, গত বছরের
জুলাই থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি এই সাত মাসে ৪ লাখ ৮৭হাজার ৫৫০টন
বোল্ডার ও চিপস পাথর আমদানি করা হয়েছে । এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে
৩৩ কোটি ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪৪ টাকা। পাথর আমদানি অব্যাহত থাকলে স্থলবন্দরের
লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে অনেক বেশি রাজস্ব আয় হবে বলে তিনি আশা করছেন।