বর্তমানে মাছ ব্যবসার অন্তরালে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে র্যাবের একটি অভিযানে কক্সবাজারের গভীর সমুদ্রে একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ৫ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। অভিযানে মিয়ানমারের ৫ নাগরিকসহ ৯ ইয়াবা পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
আটকেরা হলেন কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছরা এলাকার আবু বকরের ছেলে ইয়াবার মালিক মো. সুলতান আহম্মদ (৪০), খাগড়াছড়ি রামগড় থানার মালবাগান এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে মো. মিজানুর রহমান (৪৭), উখিয়া কুতুপালং এলাকার নুর মোহাম্মদ এর ছেলে মো. হাবিবুল্লাহ (৩৭) বার্মা, আবদুল্লাহর ছেলে জাহিদ হোসেন (৩০) বার্মা, সৈয়দ হোসেনের ছেলে মো. আবদুল হামিদ, লক্ষ্মীপুর রামগতি এলাকার সুজন গ্রামের আবদুল মতলবের ছেলে আব্দুর রউফ (৪৫), মংড়– মুন্সিপাড়ার নুর বশরের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (১৯), আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মো.ওসমান গণি (২০) এবং রংপুর মিঠাপুকুরের গয়েশ্বর এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে মো. আঃ রাজ্জাক মিয়া (৫৫)।
শনিবার দুপুরে র্যাব-৭ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন বলেন, দীর্ঘদিনের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও গোয়েন্দা অনুসন্ধানের জানা যায় মায়ানমার এবং দেশীয় চোরাচালানীদের বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্র মাছের ব্যবসার আড়ালে মায়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে বাংলাদেশে আসে।
তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব-৭ সমুদ্রে টহল জোরদার করে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম রুটে অভিযান চালিয়ে ইয়াবার বেশ কয়েকটি বড় বড় চালান আটক করে। এরই প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে একটি মাদক সিন্ডিকেট ফিশিং ট্রলারের অন্তরালে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মায়ানমার হতে কক্সবাজারের দিকে যাত্রা করছে। পরে র্যাব কক্সবাজারের গভীর সমুদ্রে একটি মাছ ধরার ট্রলারকে ধাওয়া করে আটক করে। এ সময় টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের একটি দল র্যাবকে সহায়তা করে।
এদিকে আটককৃত ট্রলার (এফবি জানিবা খালেদা ১) তল্লাশি করে মাছ রাখার প্রকোষ্ঠের ভিতর সুকৌশলে লুকানো ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ইয়াবাসহ ৮ জনকে আটক করা হয়।
অন্যদিকে আটককৃত ইয়াবার মালিক মো. সুলতান আহম্মদকে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ তার বাসা থেকে আটক করা হয়। তিনি মাছ ব্যবসায়ী। তার দুটি ট্রলার রয়েছে। মাছ ব্যবসার আড়ালে তিনি দীর্ঘ দিন ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে জানান, কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন।