দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের অভিযানে ঘুষখোরের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে ঘুষের রেট (পরিমাণ)। এ নিয়ে নানাজন অভিযোগ করেছেন। জানালেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমাকে অনেকেই বলেছেন- আপনি ড্রাইভ দিচ্ছেন ভালো, কিন্তু এতে রেট বেড়ে গেছে। যারা দুর্নীতি করছে, তাদের এখন বক্তব্য হচ্ছে, ভাই এখন চারদিকে দুদক, ঝামেলা, ১০ টাকার জায়গায় আপনি ১ হাজার টাকা দেবেন- এটা আমার কানে এসেছে।
তিনি বলেন, গেলো বছরে প্রায় ৫শ’ জনকে আটক করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। তার সামাজিক বা পেশাগত বা অন্য কোনো পরিচয় কমিশনের কাছে ন্যূনতম গুরুত্ব পাবে না।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কঠিন কাজ হলেও দুর্নীতি রোধ সম্ভব। দুর্নীতি ঠেকাতে শুধু অভিযান নয়, সামাজিক আন্দোলনও বাড়াতে হবে।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ অনেকে ছিলেন।