শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনিতে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে ভূগর্ভে উন্নয়ন কাজ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

 

 

প্লাবন গুপ্ত শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনির দ্বিতীয় শিফটে

ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে ভূগর্ভের উন্নয়ন কাজ চলছে।

খনি সূত্রে জানা যায়, খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয় ট্রেষ্ট

কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) তাদের নিজস্ব জনবলের পাশাপাশি খনি বিশেষজ্ঞদের

নিয়ে ভূগর্ভের কাজ চালাচ্ছে। দিন তারিখ নিদিষ্ট না হলেও খুব শিঘ্রই খনির

ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন শুরু করা হবে এমন লক্ষ্যকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে

সাময়িক কর্মবিরতিতে থাকা স্থানীয় খনি শ্রমিক ও কর্মচারিদেরকে গতকাল

শনিবার থেকে কর্মস্থলে ফিরিয়ে নেয়া শুরু করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান

জিটিসি। শ্রমিক ও কর্মচারীরা কর্মস্থলে ফিরে আসায় খনিতে আবারও ফিরে

এসেছে কর্ম চাঞ্চল্যকর পরিবেশ।

খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয় ট্রেষ্ট কনসোর্টিয়াম

(জিটিসি) সূত্রে জানা যায়, খনির পাথর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে খনির ভূগর্ভে

নতুন স্টোপ ( শিলা উৎপাদন ইউনিট) নির্মাণসহ খনির উন্নয়নের জন্য পৃথিবী

খ্যাত বিশ্বমানের অত্যাধুনিক মেশিনারিজ ও যন্ত্রাংশ আমদানী করা হয়েছে।

বিভিন্ন দেশ থেকে এসব মেশিনারীজ ও যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করতে দীর্ঘ সময় ক্ষেপণ

হয়েছে। এতে করে দীর্ঘ সময় ধরে খনির কার্যক্রম চালাতে গিয়ে বিপুল অংকের

অর্থ লোকসান গুনতে হয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসিকে। ইতোমধ্যে

প্রায় সব মেশিনারী ও যন্ত্রাংশ খনিতে পৌঁছে যাওয়ায় খনির ভূগর্ভ থেকে দুই

শিফটে পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভূগর্ভের উন্নয়ন কাজও চলতে দ্রুত

গতিতে। খুব দ্রুতই খনির উৎপাদন কাজ শুরু করা যাবে এমন আশা করছেন

জিটিসি কর্তৃপক্ষ। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই দীর্ঘ সময় সাময়িক

অবসরে যাওয়া স্থানীয় শ্রমিক-কর্মচারীদেরকে কর্মস্থলে ফিরিয়ে নেয়া শুরু করা

হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জিটিসি’র এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন,

ভূগর্ভের প্রায় ৭০ভাগ উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে বাকি কাজও শেষ

হয়ে যাবে। খনিতে দুই শিফটে পাথর উত্তোলন শুরু হলে খনির উত্তোলিত পাথর দেশের

প্রায় বেশিরভাগই অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজে পাথরের চাহিদা মেটাতে

সক্ষম হবে। এতে বিদেশ থেকে পাথর আমদানী নির্ভরতা কমে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451