গাজীপুরে যেদিন নদী থেকে বিলাসবহুল প্রাডো উদ্ধার করা হয়, সেদিনই শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার একটি বাজারে আরেকটি বিলাসবহুল গাড়ি ফেলে রেখে চলে যায় চালক।
গত দুদিনেও সেই গাড়ির মালিককে খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ। বিলাসবহুল টয়োটার অ্যাভেঞ্জা গাড়িটি এখন থানায় রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ আজ শনিবার সকালে জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজার থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। এর নম্বর ঢাকা মেট্রো গ- ৩৭-৮৯৯৭।
শেরপুরের পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনি বলেন, ‘গাড়িটির সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে এবং মালিক খুঁজে বের করতে আমরা বিআরটিএর কাছে চিঠি দিয়েছি। এ ছাড়া সারা দেশের প্রতিটি থানায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়িটি সম্পর্কে।’
গাড়িটির ভেতরে কিছু পাওয়া যায়নি। গাড়ির কোনো কাগজপত্রও গাড়ির ভেতর পাওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশ সুপার।
এ দিকে ভায়াডাঙ্গা বাজারেও লোকজন গাড়িটি নিয়ে অনেক আলোচনা করছে। তাদের ধারণা, গাড়িটি ঢাকার কোনো এক আদম ব্যবসায়ীর হতে পারে, যিনি ভায়াডাঙ্গা এলাকায় বিয়ে করেছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি ওই এলাকায় যান। তাঁর নামে আদম পাচারের মামলাও রয়েছে। পুলিশের ভয়ে হয়তো তিনি গাড়ি রেখেই পালিয়ে গেছেন।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস আলম জানান, ‘আমরাও এসব কথা শুনেছি। কিন্তু যেহেতু আমাদের থানায় আদম পাচারবিষয়ক কোনো মামলার কাগজ বা তথ্যাদি আসেনি কিংবা গাড়িটি কেউ দাবি করেনি, তাই আমরা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’
গত বৃহস্পতিবার কাপাসিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দস্যুনারায়ণপুর বাজারসংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেরা একটি গাড়ির সন্ধান পায়। স্থানীয় বাদল সরকারের মাছের ঘেরে সেই গাড়িটি কেউ ফেলে রেখে গিয়েছিল বলে পুলিশের ধারণা। যদিও গতকাল শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, ওই গাড়িতে যে নম্বর প্লেটটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা ভুয়া।