ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্বার্থবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। আর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মালিক-সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো একসঙ্গে বসে চলমান সংকট নিরসন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে মিডিয়া ইউনিটির সংহতি সমাবেশে মন্ত্রীরা এসব কথা বলেন।
ভারতীয় চ্যানেলগুলোর বাংলাদেশে সম্প্রচারের সময় বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ঠিক একই সময়ে ভারতীয় চ্যানেলটিতে বাংলাদেশের বাইরের দর্শকরা ভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখছেন। এটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের ব্যত্যয় বলে অভিযোগ করেছেন স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল মালিকরা। এতে অন্তত ৪০০ কোটি টাকা বিজ্ঞাপনের নামে বিদেশে পাচার হচ্ছে বলেও অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
মিডিয়া ইউনিটির সংহতি সমাবেশে বাণিজ্যমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ব্যবসা একটি উদীয়মান শিল্প। এ শিল্প রক্ষায় সরকারের সহায়তা কামনা করেন টেলিভিশন মালিকরা।
মিডিয়া ইউনিটির সংহতি সমাবেশে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং শিল্পী-কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান এবং একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোজাম্মেল হক বাবুর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা হয়েছে। ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর মামলাটি করেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘মিডিয়া ইউনিটি’র এক সভায় মাহফুজুর রহমান ও মোজাম্মেল হক বাবু চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরকে উদ্দেশ করে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন। সেখানে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ‘সংস্কৃতির রাজাকার’ বলে সাগরকে আখ্যা দেন।