স্থপতি লুই আই কানের আঁকা জাতীয় সংসদ ভবনের মূল নকশা পেয়েছে বাংলাদেশ।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার নকশাটি এসে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
১৯৬৪ সালে ১৫ মিলিয়ন ডলারের অনুমিত ব্যয় ধরে লুই কানের নকশা অনুযায়ী সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের নির্মাণ শুরু হয় যা সমাপ্ত হয় ১৯৮২ সালে।
বিভিন্ন সরকারের আমলে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় রাষ্ট্রীয়ভাবে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে কবর দেওয়া হয়। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরসহ এ রকম সাতটি কবর সংসদ ভবন এলাকায় রয়েছে। অন্যদের মধ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান ও আতাউর রহমান খান, সাবেক মন্ত্রী মশিউর রহমান যাদু মিয়া, মুসলিম লীগ নেতা খান এ সবুর, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ এবং পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার তমিজউদ্দীন খানের কবর রয়েছে।
শেরেবাংলা নগরে লুই কানের নকশাবহির্ভূত আরো সাতটি স্থাপনা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি), স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবরের চারদিকে থাকা চারটি প্রবেশপথের শুরু বা শেষপ্রান্তে রয়েছে ঝুলন্ত সেতু, সম্মেলন কেন্দ্র, মসজিদসহ চারটি স্থাপনা।
সর্বশেষ গত বছরের ২৭ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ মারা গেলে তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী সংসদ ভবনের ‘জাতীয় কবরস্থানে’ দাফন করার জন্য জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কাছে অনুমতি চেয়েছিল তাঁর পরিবার। কিন্তু তাতে সম্মতি দেওয়া হয়নি।
জাতীয় সংসদ ভবন সীমানার পূর্ব প্রান্তে আসাদ গেটের উল্টো দিকের পেট্রলপাম্পটি বর্তমানে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই জায়গাটি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তখনকার মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের ভাইকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
নকশাবহির্ভূত স্থাপনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে লুই কানের মূল নকশা হাতে পেতে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার আর্কাইভসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওই নকশার একটি অনুলিপি সরকারের কাছে রয়েছে। মূল নকশা সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ করা হয় চার লাখ মার্কিন ডলার।